১২জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সোমবার। কংগ্রেস, সিপিএমের পাশাপাশি এই তালিকায় তৃণমূলেরও দুজন সাংসদও রয়েছেন। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়টা জুড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিরোধী দলের অন্দরে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের তরফ থেকেও এনিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিগত সেশনে যথাযথ আচরণ না করার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের।
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, সাংসদদের ভয় দেখানোর জন্য স্বৈরাচারী সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। যখন ঘটনাটা হয়েছিল তখনও পদক্ষেপ নিতে পারতেন। গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করা হচ্ছে। অন্যের জন্য যারা গলা তুলছেন তাদেরকেই দাবিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, আমরা কড়া ভাষায় এর নিন্দা করছি। গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ স্তর হল সংসদ। সেখানে আলোচনা করা প্রয়োজন। এই ইস্যুটা কৃষকের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত। ১২জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এই অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য। আমাদের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা শুধু নিন্দাই করছি না। যদি তাঁরা কিছু করেই থাকেন তবে তাদেরকেও জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া দরকার ছিল। এটা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। এটা অগনতান্ত্রিক পদক্ষেপ। এটি অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।