কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে নিত্যই নানান ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে দিয়ে যান হরদীপ সিং পুরী। সদ্য তিনি ‘রিপাবলিক ২০২৪’ সামিটে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে যাবতীয় ব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ তাঁর সামনে আসেন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক পুরনো বন্ধু। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ের সহপাঠিনী রাজ দত্তকে সামনে দেখেই স্মৃতিমেদুর হয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সময় ছিল খুব অল্প, দুই বন্ধুর তখন নানান পুরনো কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বাকি বান্ধুরা কে কোথায়, তা নিয়ে খানিকটা কথা হল, আর খানিকটা কথা হল বয়স নিয়ে। বহু বছর আর বয়সের মাইলস্টোন পার করে দুই বন্ধুর এই সাক্ষাৎ বন্দি হল ভিডিয়োয়।
হরদীপ সিং পুরী তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে লিখছেন, প্রায় ৫ দশক আগের কথা ফের মনে পড়ে গিয়েছিল দুই বন্ধুর। কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেশ্যাল বাসে সেই সময় চড়া হত, সেই সমস্ত পুরনো কথা পুরনো ক্লাসফ্রেন্ডকে দেখেই মনে পড়ে গিয়েছিল মন্ত্রীর। দোর্দণ্ডপ্রতাপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেন তখন ফিরে গিয়েছিলেন একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতির পাতায়। এদিকে, রাজ দত্তের সামনে তখন যেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন না হরদীপ সিং পুরী! বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীর সঙ্গেই প্রায় খোশ মেজাজে গল্প করতে থাকেন রাজ দত্ত। কথপোকথোনর শুরুতেই দেখা যায় হরদীপ সিং পুরী বলছেন, আমি চিবতে পেরেছি, তুমি সেই স্পেশ্যাল বাসে আসতে! একেবারে নিজের দুই বন্ধুর গল্পের মাঝে আসে বয়সের প্রশ্ন। সহপাঠিনী রাজ বলেন, ‘ তখন আমি ২০ বছরের ছিলাম… আর আজ আমি…’ বলতে থাকেন বছর ৭০ এর মহিলা। শুনে তাঁর বন্ধু হরদীপ সিং পুরী বলেন, 'তো কী হয়েছে, আমার বয়স তো এখন ৭৪, তাতে কী এমন হল!' সহপাঠিনীকে হরদীপ সিং পুরীর প্রশ্ন ছিল, আরও এক বন্ধুকে নিয়ে। তিনি এখন কোন দেশে আছেন তা জিজ্ঞাসা করেন। পাল্টা সহপাঠিনী বলেন, এখন সেই বন্ধু কোথায় আর জানা নেই। ব্যস্ত মন্ত্রীর এহেন রূপ সেভাবে সচরাচর দেখা যায়না। তবে এই ঘটনার পুরোটাই এখন ক্যামেরা বন্দি।
এদিকে, ইন্টারনেটে এই ভিডিয়ো ঝড় তুলেছে। অনেকেই বলছেন, এমন দেখা হওয়া খুবই ‘দামি’। বয়সকালে পুরনো দুই বন্ধুর এভাবে দেখা হওয়া আর কথা বলার ঘটনা ইন্টারনেটের জেন-জেডের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী ও তাঁর সহপাঠিনীর এমন নস্টালজিক হয়ে পড়া ভিডিয়ো এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল।