আরও একবার সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হলেন বাংলাদেশে। আবারও ভাঙচুর করা হল প্রতিমা। এবার অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ঝামেলা। উগ্র মৌলবাদী সংগঠন এবং জঙ্গিদের কিছুতেই দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না বাংলাদেশে। শেখ হাসিনার সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে, কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তবুও মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।
ক’দিন আগেই বাংলাদেশের নড়াইলের একটি ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এক শিক্ষককে জুতোর মালা পরানো হয়। করা হয় চরম হেনস্থা। এরপরই অশান্তি বাড়তে থাকে। নড়াইলের লোহাগড়ায় বহু হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এই ঘটনার জেরে। করা হয় লুটপাটও। এর পাশাপাশি মাগুরা জেলার এক স্কুল শিক্ষিকা লীলা সরকারের বাড়িতেও কোনও কারণ ছাড়াই ক’দিন আগে বস্তা বস্তা ময়লা ফেলা হয়। এর পরে আবার মোংলার হিন্দুরা আক্রান্ত হল।
মোংলার বাগেরহাট এলাকায় একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। মন্দিরের সামনের লাগোয়া মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে খেলতে আসা ছেলেদের একটা সমস্যা চলছিল।
গত শনিবার, ৬ অগস্ট ছেলেরা ওই মাঠে খেলতে এলে নতুন করে ঝামেলা তৈরি হয়। তখন দুই পক্ষই একে অন্যকে হুমকি দেয়। তারপর তখনকার মতো স্থানীয় ছেলেরা ফিরে যায়। কিন্তু মাঝরাতে মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর করা হয় প্রতিমা। চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর সার্বজনীন মন্দিরের দুটো প্রতিমাকে ভাঙা হয়। ঘটনার জেরে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে কানাইনগর গ্রামের রাহাত চৌধুরী, নয়ন মল্লিক, আসিফ খানকে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।