ভাবা যায়! আমেরিকার আলাবামাতে এক ইন্ডিয়ান-আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত ছিলেন। তিনি মিসাইল ডিফেন্স ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। এদিকে কর্মস্থল থেকে তিনি তাঁর মৃতপ্রায় আত্মীয়কে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিলেন। এরপর তিনি হিন্দিতে কথা বলেন। অপরাধ বলতে এটাই। তারপরই তাকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এনিয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৭৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি। খবর পিটিআই সূত্রে। কিন্তু কেন তার বিরুদ্ধে এত কড়া পদক্ষেপ নিল কোম্পানি?
তাঁর নাম অনিল ভার্সনে। গত বছর অক্টোবর মাসে তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়। তিনি ভারতে থাকা তাঁর আত্মীয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিলেন। সেই অপরাধেই কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয় তাঁকে।
আসলে এক শ্বেতাঙ্গ সহকর্মী দেখে ফেলেন তিনি ভারতে থাকা তাঁর শ্য়ালকের সঙ্গে হিন্দিতে ভিডিয়ো কলে কথা বলছেন। এরপরই সেটা তিনি জানিয়ে দেন ওপর তলায়। তার জেরেই তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ওই ইঞ্জিনিয়ার ওই ফার্মে চাকরি করতেন। সূত্রের খবর, ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি তাঁর শ্য়ালক কে সি গুপ্তার কাছ থেকে একটি ভিডিয়ো কল পান। তিনি একেবারে মৃ্ত্যুশয্যায়। তিনি একটু দেখতে চেয়েছিলেন প্রিয়জনকে। সেই জন্যই ফোনটি তুলেছিলেন তিনি। আর তাতেই চাকরি গেল তাঁর। তিনি হিন্দিতেই কথা বলেছিলেন।
মামলায় তিনি জানিয়েছেন, আর হয়তো শ্য়ালকের সঙ্গে কোনওদিন কথা হবে না। সেকারণেই তিনি ফোনটি রিসিভ করেছিলেন। একটা খালি কিউবিকলে গিয়ে তিনি ফোনটা ধরেন। তবে তিনি ভিডিয়ো কল ধরার আগে এটা নিশ্চিত করে নিয়েছিলেন যে চারপাশে এমন কোনও সামগ্রী যাতে না থাকে যেটা প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত। তারপরই তিনি ফোন ধরেন। মাত্র দু মিনিট তিনি ফোনে কথা বলেছিলেন। সেটাও হিন্দিতে। এরপরই এক সহকর্মী তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি ভিডিয়ো কল করছেন? এরপরই সেই সহকর্মী বলেন, এখানে ভিডিয়ো কল করা যায় না। তারপরই চাকরি যায় তাঁর।
এদিকে তিনি হিন্দিতে কথা বলায় বুঝতে পারেননি তার সহকর্মী। তিনি রিপোর্ট করেন, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য় ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বাইরে বলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলেও দাবি করা হয়। এরপরই এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয় কোম্পানি। তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। কার্যত জোর করে তাকে চাকরিস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়।