আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। তার আগে দেশটিতে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বিরোধী বিএনপি'র দাবি অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তাদের যুক্তি, শেখ হাসিনার সরকার থাকলে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দেশের শাসনভার তুলে দিতে হবে। তা না হলে তারা ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন। অন্যদিকে, দেশটিতে বিরোধীদের ধরপাকড় চালাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। এই অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত দেশের তিনটি প্রধান দলের নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: 'ভরসা' আমেরিকা? বাংলাদেশে নির্বাচনেই লড়বে না BNP! হাসিনার বিরুদ্ধে কোন অঙ্ক
মার্কিন দূতাবাস সূত্রে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা মেটাতে দেশটির তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেছেন। কারণ বিরোধীরা দুই সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট করার ফলে দেশটিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং সব পক্ষ যাতে হিংসা বর্জন করে তার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করার কয়েকদিন আগেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক মহম্মদ তানজিমুদ্দিন খান একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি'র সমাবেশে হিংসা ছড়িয়েছিল। তারপর থেকে ধরপাকড় শুরু করেছে শেখ হাসিনার সরকার। পুলিশ এখনো পর্যন্ত ১১ হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তবে এ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, বিএনপি'র সব শীর্ষ নেতাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে তাহলে কাদের সঙ্গে এই বৈঠক হবে।
বিএনপি জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফে গ্রেফতারের সংখ্যা ২ হাজার বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত ৪জনের মৃত্যু হয়েছে তবে বিরোধী দলের দাবি এই মৃত্যুর সংখ্যাটা ১৩ জন।