ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পিলিভিটে এক মহিলা তার ৫৫ বছর বয়সী স্বামীকে হত্যা করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে স্থানীয় একটি খালে ফেলে দেন। দুলারো দেবী নামে ঐ মহিলা ২৮ জুলাই পুলিশের কাছে তার স্বামীকে কুড়ুল দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতের নাম রাম পাল। রাম পাল গজরৌলা এলাকার শিবনগরের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) অতুল শর্মা জানিয়েছেন যে ঘটনাটি ঘটেছে গজরৌলার শিবনগর গ্রামে। প্রথমে রাম পালের নামে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তের সময় নিহতের ছেলে পুলিশের কাছে তার বাবাকে খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেন। পুলিশ নিহত রাম পালের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর পুলিশ খুনির বিবরণ অনুসরণ করে নিকটবর্তী গ্রামের খাল থেকে মৃতের শরীরের অংশগুলি উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় একটি ব্যাগের মধ্যে মৃতের রক্তমাখা জামাকাপড়।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুলারো দেবী স্বীকার করেন যে, তিনি রাম পালকে ২৩ জুলাই রাতে ঘুমানোর সময় হত্যা করে। রাম পাল সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও সে বারবার তাকে আক্রমণ চালিয়ে যায়। তিনি স্বামীকে একটি খাটে বেঁধে অবিরাম তাকে একটি ধারালো কুড়াল দিয়ে আঘাত করে তার শরীরকে পাঁচটি টুকরো করে ফেলেছিল। এরপর খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতের শরীরের অংশগুলি এবং রক্তমাখা জামাকাপড় ও তোষক নিকটবর্তী খলে ফেলে আসে।
কী কারণে তিনি স্বামীকে এরকম নির্মম ভাবে হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য দুলারো দেবী তার স্বামীর বন্ধুর সাথে কয়েক দিনের জন্য পালিয়ে গিয়েছিল এবং এক মাস আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এই খুনের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা এবং কী উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছে এই বিষয়ে তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।