উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিককে এক লক্ষ টাকার চেক দিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। তবে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে যাঁরা শেষ মুহূর্তে উদ্ধার করেছেন সুরঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের। আপাতত হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের। তবে প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে ছিলেন শ্রমিকরা নিজেদের মনোবল ধরে রেখে তাতে অভিভূত গোটা দেশ। একইভাবে উদ্ধারকারীদের হার না মানা মনোভাবেও গর্বিত গোটা দেশ।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানান, সুড়ঙ্গে প্রায় ৪০০ ঘণ্টা আটকে থাকলেও ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেক শ্রমিকই বলেছেন, তাঁরা ঠিক আছেন। অ্যাম্বুল্যান্সে বসেই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। ১৭ দিন পর সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসেও তাঁদের মুখে হাসি লেগেছিল। শ্রমিকদের এই মনোভাবের প্রশংসা করছে গোটা দেশ। উদ্ধারের পর শ্রমিকদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। শ্রমিকদের এই সাহসিকতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘উত্তরকাশীতে শ্রমিক ভাইদের উদ্ধারকাজের সাফল্য প্রত্যেককে আবেগপ্রবণ করে দেওয়ার মতো। সুড়ঙ্গে যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের বলব, আপনাদের ধৈর্য এবং সাহস প্রেরণা জোগাবে। আমি প্রত্যেকের মঙ্গল এবং সুস্বাস্থ্যের কামনা করি।’
অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এখানে এসে সকল শ্রমিকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। প্রাথমিক চিকিৎসা ভালভাবে হলেও মুখ্যমন্ত্রী চান এই ৪১ জন উদ্ধার হওয়া শ্রমিককে ঋষিকেশের এইমস হাসপাতালে পাঠিয়ে আরও উন্নততর চিকিৎসা দিতে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এক শ্রমিকের মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আর তাঁর ছেলে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন। তখনই তিনি এইমস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার কথা বলেছেন। সেখানে পরীক্ষা সম্পন্ন হলেই বাড়িতে ফেরত পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী ধামি উদ্ধার হওয়া কয়েকজন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: ধর্মতলার মঞ্চে আক্রমণে অমিত শাহ, পথের ধারে বিজেপির কর্মীদের খাওয়াল ‘মা ক্যান্টিন’
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের গোটা অপারেশনে নজর রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। পুষ্কর সিং ধামির কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী সবসময় খেয়াল রেখেছেন শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে। তাঁর পরামর্শেই সরকার শ্রমিকদের মূল্যবান জীবন রক্ষা করতে পেরেছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন সফল করতে সকলের সাহায্য লেগেছে। আমরা এখন দীপাবলি পালন করব যেহেতু সব শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা গিয়েছে। শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের এই দীপাবলি পালন করতে দেরাদুনে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে।’