একবার নয়। দু-দু'বার মাউন্ট এভারেস্টের মাথায় পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও কোনও মহিলার পাহাড়প্রমাণ হৃদয় জয় করতে পারেননি। এক অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী যুবকের প্রেমজীবনের করুণ কাহিনী ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রেম করা যে কতটা কঠিন, তার প্রমাণ এই ঘটনা।
ইসাবেল হেগেন নামে একজন টুইটটি করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার একবার একটি ডেটিং অ্যাপে একজনের সঙ্গে ম্যাচ হয়েছিল। তিনি মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছিলেন। দুই বার। আর তারপরেও তিনি তখনও সিঙ্গেল ছিলেন। ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। এসব প্রেম-ট্রেম যে কতটা কঠিন মা গো!
দেখুন সেই টুইট:

টুইটারে এরপরে রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়ে যায় এই টুইট। প্রায় ৫২ হাজারেরও বেশি লাইক পড়েছে তাতে।
সত্যিই তো, এটা বেশ ভাবনার বিষয়। এভারেস্টের শৃঙ্গ জয় করা যে দারুণ বীরত্বের ব্যাপার, তা কারও অজানা নয়। এমন কোনও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীর প্রতি তো মহিলাদের আগ্রহ তুঙ্গে থাকা উচিত্। কিন্তু অবস্থা এমনই যে, তাঁকেও ডেটিং অ্যাপে জীবনসঙ্গিনী খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে।
অনেকে অবশ্য অন্যান্য ‘ফ্যাক্টরে’র বিষয়েও প্রশ্ন করেছেন। তার উত্তরও দিয়েছেন ইসাবেল। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি।
ওনাকে দেখতে কেমন?
- বেশ ‘কিউট’।
লম্বা?
- বেশ লম্বা!
নিশ্চয় অসহ্য, বিরক্তিকর ব্যক্তিত্ব ছিল
- একেবারেই নয়। ভীষণই কুল ধরণের ছিলেন।
অনেকে আবার বলছেন, এই পর্বতারোহনই হয় তো কাল হয়েছে ওনার। মহিলারা তাঁকে অতি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী ভেবে বসেন। আর সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক থেকে পিছিয়ে আসেন। তাছাড়া এমনটাও হতে পারে যে, ডেটে গিয়ে খালি পর্বতারোহনের বিষয়েই বলতে থাকেন তিনি! আর সেই কারণেই হয় তো মহিলারা তাঁকে এড়িয়ে যান।
ওরা কোনও Law মানে না, তাই ওদের নাম ললনা
সে কারণ যা-ই হোক না কেন। নারী চরিত্র যে বেজায় জটিল, তা তো স্বয়ং মহানায়কের মুখ থেকেই শুনে গিয়েছি আমরা। আসলে পুরুষরা যা-ই করুন না কেন, মহিলাদের মাথায় ঠিক কী চলছে, তাঁরা যে ঠিক কী চান, এ বিষয়ে জানা কার্যত অসম্ভব।

আর সেই কারণেই হয় তো, বাড়িতে শুয়ে-বসে থাকা, ‘ল্যাধপ্রিয়’ বাঙালি যুবকরাও সন্ধ্যাবেলায় বেরিয়ে পড়েন। পাশের পাড়ায় গিয়ে টুকটাক করে প্রেম করে আসেন। আর মাউন্ট এভারেস্টে দুই বার চড়া সাহেবও প্রেমিকার খোঁজে ডেটিং অ্যাপে বসে হাপিত্যেশ করেন।
আমাদের মতো সদা সিঙ্গেলদের তাই এ বিষয়ে বেশি মাথা না ঘামানোই ভাল। কপালে যা আছে!