একের পর এক এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপ! তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে এপর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। সোমবার ভোর রাত থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৩ বার ভূমিকম্পের শিকার তুরস্ক। ৫ ঘণ্টায় আফটার শক হয়েছে ২০ বারেরও বেশি। দেশে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে ছিন্ন ভিন্ন মৃতদেহ। এরই মধ্যে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার খবর উঠে এল। সিরিয়ার এক ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করা নিয়ে এই ঘটনা।
সিরিয়ার আফরিন এলাকায় তখন স্বজনহারার কান্না। দিকে দিকে আর্তনাদ। কোথাও কৌতূহলি মুখ খুঁজছে স্বজনের চেহারা। এরই মাঝে চলছিল উদ্ধার কাজ। একের পর এক কংক্রিটের ভগ্ন চাঁই সরিয়ে প্রাণের অস্তিত্বকে খুঁজে বের কার চেষ্টায় ছিলেন উদ্ধারকারীররা। ভগ্নস্তূপে পর পর যখন মৃতদেহ উঠে আসছে, তখনই উদ্ধার হয় এক সদ্যোজাতশিশু। দেখা যায়, ওই ভগ্নস্তূপের মধ্যে চাপা পড়েও জীবন্ত রয়েছে ওই শিশু। তখনই তৎপর হয় উদ্ধারকারী দল। শিশুকে প্রাণে রক্ষা করতে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পে এক গর্ভবতী মহিলার ভগ্নাবশেষের মধ্যে আটকে পড়েন। সেখানেই তিনি জন্ম দেন তাঁর সদ্যোজাতকে। ওই প্রসূতি শেষ পর্যন্ত উদ্ধারের সময়ই মারা যান। মারা যায় শিশুটির বাবাও। তবে এই প্রকাণ্ড বিপর্যয়ের মধ্যে জন্মানো ওই সদ্যোজাত জীবিত থাকে। আর তার প্রাণ রক্ষায় এবার উদ্যোগী মেডিক্যাল কর্মীরা। (তুরস্ক, সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পের আভাস কিছুদিন আগেই এসেছিল? গবেষকের পোস্ট ভাইরাল)
সিরিয়া, তুরস্ক ঘিরে নানান দিকে ভয়ঙ্কর ছবি উঠে আসছে। মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে আরম্ভ করেছে। অসুস্থ, হতাহতের সংখ্যা অগণিত। তারই মাঝে আবহাওয়া বাদ সেধেছে। ক্রমেই খারাপ হচ্ছে সেখানের পরিস্থিতি। সোমবার সিরিয়া সীমান্তের কাছে তুরস্কের গাজিয়ান্তেপের কাছে ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে একটা বড় এলাকা বিপর্যস্ত হয়। সোমবারের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা তুরস্ককে বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে ১৯৩৯ সালের কথা। যে বার সেদেশে ভাবহ ভূমিকম্প কেড়েছিল ৩০ হাজার জনের প্রাণ। ৮৪ বছর পর ফের অভিশপ্ত স্মৃতিই ফিরে এসেছে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের ঘটনায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup