প্রত্যেক মহিলার অন্তত দু'টো করে সন্তান থাকতেই হবে। দেশের স্বার্থে জারি করা হয়েছে নতুন নিয়ম। এদিন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার জনগণকে আরও সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে জাতিগত ভাবে দেশের সঠিক অবস্থান বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক রাশিয়ান পরিবারগুলিতে কমপক্ষে দু'টি সন্তান থাকা জরুরি এবং দেশের বিকাশের জন্য তিন বা তার বেশি সন্তান থাকা উচিত।
পুতিন ইউরাল অঞ্চলের একটি ট্যাঙ্ক কারখানার কর্মীদের বলেছিলেন যে রাশিয়ার জনগণ যদি তাঁদের পরিচয় টিকিয়ে করতে চান তবে প্রতি পরিবারে দু’টি শিশু থাকা আবশ্যক। রাষ্ট্রপতির কথায়, 'আমরা যদি একটি জাতিগত গোষ্ঠী হিসাবে টিকে থাকতে চাই, তাহলে আমাদের প্রত্যেও পরিবারে কমপক্ষে দুটি শিশু থাকতে হবে। যদি প্রতিটি পরিবারে একটি মাত্র সন্তান থাকে, তাহলে জনসংখ্যা কমে যাবে। এরই পাশাপাশি জনসংখ্যা আরও প্রসারিত করার জন্য এবং বিকাশের জন্য, আপনার কমপক্ষে তিনটি সন্তানের প্রয়োজন।' এদিন পুতিন নিজেকে পরিবার, জাতি এবং অর্থোডক্স খ্রিস্টান বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে 'ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের সমর্থক' ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরে এল বিশেষ ট্রেন, উরস উৎসবে মেতে উঠল দুই বাংলা
- রাশিয়ায় হঠাৎ এত জনসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় জন্মহার ১৯৯০ সাল থেকে ক্রমাগত কমছে। একই সময়ে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর থেকে দেশটিতে তিন লাখের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। পুতিন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, আগামী কয়েক দশকের জন্য রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়ানোই হবে আমাদের আসল লক্ষ্য। দুই বছর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বহু রাশিয়ান মারা গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হাজার হাজার মানুষ সংঘাতের প্রতিবাদে বা যুদ্ধে ডাকার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া দুই দশক ধরে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা হ্রাসের শিকার হয়েছিল, মদ্যপানের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলির কারণে জনসংখ্যা হ্রাসের উদ্দীপনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো অনুমান করেছে, ২০২৩ সালের শুরুতে জনসংখ্যা ছিল ১৪৬.৪ মিলিয়ন, যা ২০ বছর আগে প্রায় ১৪৯ মিলিয়ন থেকে অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে। তবে, এই জনসংখ্যার গ্রাফ ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার নিম্নমুখী গ্রাফের থেকে অনেকটাই উপরে।