পৌলমী ঘোষ
সাবরিনা সিদ্দিকি। মার্কিন সফর চলাকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। আর তারপরই তাঁকে নানা রকম ট্রোলের শিকার হতে হচ্ছে বলে খবর। সাবরিনা সিদ্দিকি। তিনি দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে হোয়াইট হাউস বিটটা করেন। মার্কিন সফরকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে দীর্ঘকাল ধরেই ভারতের সুনাম রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে আপনার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। আর যারা এর সমালোচনা করেন তাদের চুপ করিয়ে দেন। আপনি এই যে হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এখানে তাবড় নেতারা হাজির রয়েছেন। আপনি বলুন আপনি ও আপনার সরকার আপনার দেশের সংখ্য়ালঘু মুসলিমদের অধিকার রক্ষায় কী করেছে ও তাঁদের বলার অধিকার রক্ষায় কী করেছে?
এরপরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় কার্যত ঝড় ওঠে। আসলে সাবরিনা সিদ্দিকি একজন আমেরিকান সাংবাদিক। তিনি আসলে পাকিস্তান বংশোদ্ভূত, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে তাঁর মা পাকিস্তানি ও বাবা পাকিস্তানি-ভারতীয়। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে পোস্ট করতেন সেটাও এবার সামনে আনা হয়েছে। বলা হচ্ছে তিনি পাকিস্তানি বলেই এই ধরনের আপত্তিকর প্রশ্ন করার জন্য তাকে বাছা হয়েছিল।
তবে সাবরিনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন মোদী। তিনি বলেছিলেন, আমাদের সরকার গণতন্ত্রের মূল কথা মেনে চলে। সেই মতো আমাদের সংবিধান তৈরি হয়েছে। গোটা দেশ সেভাবেই চলে। …এখানে বৈষম্যের কোনও জায়গা নেই।
এদিকে বিরোধী কংগ্রেস অবশ্য এনিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতের দাবি, আপনি নির্ভীক সাংবাদিক। সেটাই ম্যাটার করছে। এরপর ওই সাংবাদিকের একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং টুইট করে জানিয়েছেন, কারা সাংবাদিককে ট্রোল করছে এটা জানা দরকার। তিনি ধর্মীয় সংখ্য়ালঘুদের নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এটা কি আপনার ব্যক্তিগত ট্রোল আর্মি? যদি সেটা হয়ে থাকে তবে আপনি কি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
এদিকে সাবরিনা সিদ্দিকি আবার ছবি পোস্ট করে দেখাতে চেয়েছেন তিনি ২০১১ সালে বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট টিমের হয়েই গলা ফাটিয়েছিলেন। রীতিমতো ভারতের জার্সি পরে রয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, আমার ব্যক্তিগত ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। মাঝেমধ্যে পরিচিতি যেমন মনে হয় তার থেকেও জটিল হয়।