বিশাল শুঁড় গিয়ে যখন দামোদরণকে শেষবারের মত ছুঁল ব্রহ্মদাঁতন, কেউই আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। এগিয়ে এসে তার গজদন্ত জড়িয়ে ধরলেন রাজেশ। দামোদরণের ছেলে।
পলট্টু ব্রহ্মদাতন। ২৫ বছর বয়সী একটি বিশাল হাতি। আর দামোদরণ নায়ার তার মাহুত। কেরলের কোট্টায়ামে তাঁদের বাস। বহুদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের বৃহস্পতিবার চলে যান দামোদরণ। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল, 'একবার পলট্টুকে নিয়ে আসবে কেউ? ওকে দেখতে মন চায়।'
৬০ বছর বয়সী দামোদরন বংশ পরম্পরায় মাহুত। গত ২৫ বছর ধরে তাঁর রোজের সঙ্গী ব্রহ্মদাঁতন। মন্দিরের পুজো পার্বন থেকে হাতির রেস, সবেতেই সমান জনপ্রিয় ছিল দামোদরণ-ব্রহ্মদাঁতন জুটি।
বৃহস্পতিবার দামোদরণের শেষ ইচ্ছা মতো তাঁ কাছে আনা হয় তাঁর প্রিয় বন্ধুকে। সকলকে অবাক করে দিয়ে তাঁকে শেষবারের মতো শুঁড় দিয়ে ছোঁয় ব্রহ্মদাঁতন। তারপর দামোদরণের শেখানো ভঙ্গিতেই শুঁড় উঁচিয়ে প্রণাম জানায় তার মালিককে। তারপর ধীরে ধীরে সেখান থেকে সরে যায় সে।
ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই হাতি-মাহুতের সম্পর্ক দেখে আবেগপ্রবণ। আবার অনেকে জানিয়েছেন, এর থেকেই প্রমাণ হয় যে কতটা সামাজিক ও অনুভুতিপূর্ণ হতে পারে একটি হাতি।