উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ ট্রেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর এএন ওভারহেড হাই টেনশন লাইনের লেগে পুড়ে মৃত্যু বল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, প্ল্যাটফর্মে এক বাঁদর এক মহিলার চপ্পল ছিনিয়ে নিয়েছিল। সেই মহিলা যাত্রীর চপ্পল ফিরিয়ে আনতে যান এক ব্যক্তি। ট্রেনের বগির মাথায় চড়েন সেই ব্যক্তি। এরপরই হাই টেনশন তারে লেগে যায় তার শরীর। সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে যান। মৃত ব্যক্তির নাম অশোক কুমার। বয়স ২৬ বছর। তাঁর দেহে অনেকক্ষণ আগুন জ্বলতে থাকে দাউ দাউ করে। ট্রেনের কামরার ওপর তাঁর জ্বলন্ত নিথর দেহ পড়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এই মর্মস্পর্শী ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
কাসগঞ্জের স্টেশন ম্যানেজার মনোজ কুমার শুক্রবার বলেন, 'বৃহস্পতিবার কাসগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। একজন যাত্রীর স্লিপার একটি বাঁদর কেড়ে নিয়ে ট্রেনের বগির উপরে ফেলে দেয়। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা অপর এক যাত্রীকে সেই স্লিপারটি ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সেই মহিলা। তখন একজন ব্যক্তি চটি ফিরিয়ে আনতে বগির উপরে উঠেছিলেন। তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।' আরপিএফ ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে তাঁকে চিহ্নিত করে সাজা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রল কর্তৃপক্ষ।
ওই ব্যক্তি হাই টেনশন লাইনে প্রবাহিত ২৫ হাজার ভোল্ট কারেন্টের সংস্পর্শে আসেন। এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কন্ট্রোল রুম থেকে লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও অনেক দেরি হয়ে যায়। ট্রেনের কামরার ওপর তাঁর জ্বলন্ত নিথর দেহ পড়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। পরে রেল কর্মীরা এসে অশোকের মৃতদেহটি ট্রেনের কামরার নীচে নামান। ১৫৩০৭ কাসগঞ্জ - ফারুখাবাদ এক্সপ্রেসের ওপরে ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের সময়। ট্রেনটি তখন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর ২-তে দাঁড়িয়েছিল। অশোক প্ল্যাটফর্মে এক দোকানে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাস্থলে কোনও আরপিএফ কর্মী ছিলেন না। রেল কর্তারাও অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে আসেন বলে ক্ষোভ।