আজ ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস। আর গতকাল ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বুর্জ খলিফা ভবনে তিরঙ্গার আলোকসজ্জা ফুটে ওঠে। যেকোনও গুরুত্বপূর্ণ দিনেই এই ভবনে আলোকসজ্জা হয়। যা দেখতে ভিড় জমান অনেকে। এই আবহে ১৪ অগস্ট পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষেও বুর্জ খলিফায় পাক পতাকা ফুটে উঠবে বলে আশা করেছিলেন সেদেশে বসবাসরত বহু পাকিস্তানি। সেই কারণেই ১৩ অগস্ট সন্ধ্যার পরে বুর্জ খলিফার সামনে ভিড় জমান বহু পাকিস্তানি। কারণ সাধারণ এই সব ক্ষেত্রে মধ্যরাতের পরই আলোকসজ্জায় ঝলমল করে ওঠে বিল্ডিংটি। তারা অবশ্য আশাহত হন। পাকিস্তানের পতাকা দিয়ে কোনও আলোকসজ্জায় সেজে ওঠেনি বুর্জ খলিফা। বরং গতরাত ১২টার পরে ভারতের পতাকা ফুটে ওঠে সেই ভবনে। বেজে ওঠে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত।
এদিকে বুর্জ খলিফায় পাকিস্তানের পতাকা উন্মোচন না করার ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই স্লোগান তুলে দাবি জানাচ্ছেন যাতে বুর্জ খলিফায় পাকিস্তানের পতাকা ফুটিয়ে তোলা হোক। তবে না হয়নি। ভিডিয়োয় এক যুবতীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'রাত ১২টা ১ মিনিট বেজে গিয়েছে, তবে দুবাইয়ের কর্তৃপক্ষ এই বিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের পতাকা ফুটিয়ে তুলতে অস্বীকার করছে। বিশ্বে এই আমাদের দাম।' সেই যুবতীকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এখানে পাকিস্তানিরা স্লোগান তুলছেন, তাও বিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়নি। পাকিস্তানের পতাকা ফুটে উঠল না বুর্জ খলিফায়। খুবই দুঃখের বিষয়। প্র্যাঙ্ক হয়ে গেল আমাদের সঙ্গে। পাকিস্তানের সরকার যা করছে, এরকমই হওয়া উচিত।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সন্ত্রাসবাদ, চরম আর্থিক সংকটের জেরে পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আর মধুর নেই। অপরদিকে কূটনীতির জেরে এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো হয়েছে। এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করেছে ভারত। কয়েক মাস আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে নয়া ক্যাম্পাস চালু করার লক্ষ্যে আমিরশাহি প্রশাসনের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে আইআইটি মাদ্রাজ। এদিকে কর্মসূত্রে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে প্রচুর ভারতীয় বাস করেন। এই আবহে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিল্ডিং বুর্জ খলিফায় ভারতের পতাকার আলোকসজ্জা ভারতীয়দের জন্য বেশ গর্বের বিষয়।