বিসর্জনের আগে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি প্রতিমা ও পুজোর অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী যমুনার জলে ফেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু কোথায় কী? সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেই যমুনার জলই দূষিত হল পুজোর সামগ্রীতে।
দিল্লিরই এক বাসিন্দা প্রদীপ কুমার জানান, উৎসবের সময়ও শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা প্রতিটি সাধারণ মানুষের কর্তব্য। প্রতিটি উৎসবের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস মিশে থাকে। কিন্তু শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা ভুলে গেলে চলবে না। পুজোর সামগ্রী ফেলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। এটা স্থানীয় পুরনিগমের দেখা উচিত। তবে এভাবে নদীকে দূষিত হতে দেওয়া যায় না। একইসঙ্গে তিনি জানান, মানুষের মধ্যে যদি সচেতনতা বোধ তৈরি না হয়, তাহলে সরকার যতই স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন অভিযান করুক না কেন, তাতে কোনও লাভ নেই।
এর আগে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির তরফ থেকে কড়া নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল, যমুনা নদী বা অন্য কোনও নদী বা পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন যেন না দেওয়া হয়। কমিটির তরফে পুজো সমিতিগুলি ও রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয় যেন দুর্গা প্রতিমাকে আবাসন চত্বরের মধ্যে কোনও কন্টেনারে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়। সেইসঙ্গে পুজোর বিভিন্ন সামগ্রীগুলিকে যেন আলাদা কোনও জায়গায় জমা করে রাখা হয়, যাতে বাড়ির জঞ্জাল পরিষ্কার করতে আসার সময়ে সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়।