রাজীব জয়সওয়াল
২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে পাওয়ার সেক্টরে সংস্কারের নিরিখে কেন্দ্রের ইনসেনটিভ স্কিমের ক্ষেত্রে দেশের অন্য়ান্য রাজ্যকে টপকে এগিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের ৬৬,৪১৩ কোটি টাকায় এই ইনসেনটিভ স্কিম ছিল। তাতে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার ঠিক পেছনে রয়েছে রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশ।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বুধবার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পাওয়ার পরে এনিয়ে ১২টি রাজ্য়কে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। আর সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মূলত বিদ্যুৎক্ষেত্রে যাতে সংস্কার করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ ধার নেওয়ার স্কিম করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ ১৫.২৬৩ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় অর্থ পেয়েছে। রাজস্থান ১১,৩০৮ কোটি ও অন্ধ্রপ্রদেশ ৯,৫৭৪ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২২ আর্থিক বছরের বাজেটে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এক্ষেত্রে ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য সরকার পাওয়ার সেক্টরে সংস্কার করতে চাইলে অতিরিক্ত অর্থ ধার হিসাবে কেন্দ্রের কাছ থেকে পাবে। সেকারণে তাদের স্কিম জমা দিতে হবে।
২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে পাওয়ার সেক্টরে সংস্কারের নিরিখে আর যে রাজ্যগুলি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল কেরল ( ৮৩২৩কোটি টাকা), তামিলনাড়ু( ৭০৫৪ কোটি টাকা) , উত্তরপ্রদেশ ( ৬৮২৩ কোটি টাকা), সিকিম( ৩৬১ কোটি) , ওড়িশা ( ২৭২৫ কোটি টাকা) , মেঘালয় ( ১৯২ কোটি টাকা), মণিপুর ( ১৮০ কোটি টাকা), হিমাচল প্রদেশ( ২৫১ কোটি টাকা) অসম ( ৪৩৫৯ কোটি টাকা)।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত যে কারণে এই আর্থিক ইনসেনটিভ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল সেটা হল পাওয়ার সেক্টরে যাতে উপযুক্ত সংস্কার করা হয়। তার সঙ্গে টাকা পয়সার কারণে যাতে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি থমকে না যায় সেটা নিশ্চিত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। সেই নিরিখে রাজ্যগুলি এব্যাপারে আবেদন করে কেন্দ্রের কাছে। তবে এই আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য় রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠির কথা বলে দেওয়া হয়েছিল। সেই মাপকাঠিগুলি মেনে চলেছে রাজ্যগুলি।
এদিকে এবার প্রচন্ড গরমে বাংলায় বার বার লোডশেডিং হয়েছে। এনিয়ে নানা ব্যাখা দিয়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তবে এবার সকলকে টপকে এগিয়ে গেল বাংলা।