রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ প্রসঙ্গে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এই ইস্যুই বিরোধীদের এগিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, একদিকে মনে হতে পারে তারা যেটি করেছেন সেটা অনেকটা বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি। কিন্তু অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে এটা ওদের অত্যন্ত সহায়তা করবে। এটা বিরোধীদের হাতে একটি অস্ত্র তুলে দেবে যার মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারবেন। তার সঙ্গেই রাহুল গান্ধী আর বিরোধীদের আরও ১০০টি আসন তারা তুলে দিতে পারবেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এমনটাই জানিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
তিনি এর সঙ্গেই কার্যত তির্যক মন্তব্য করেছেন, আমি প্রশংসা করছি, আমার বন্ধুদের ধন্য়বাদ জানাচ্ছি।
তৃণমূল সাংসদের দাবি, রাহুল গান্ধীর এই সাংসদ পদ খারিজের জেরে বিরোধীরা সহজেই একজোট হতে পারবেন। তিনি বলেন, দেখুন এটা একটা ভালো সূচনা। চিনে একটা কথা আছে, হাজার মাইলের জার্নি সেটা তো শুরু হয় প্রথম একটা ধাপ থেকেই। এটা একটা বড় রাজনৈতিক অগ্রগতি। তারাই বিরোধীদের একজোট করছে।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সবথেকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা লড়াকু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের বন্ধু তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এই সিরিয়াস ইস্যুতে এগিয়ে এসেছেন।
শুক্রবার রাহুল গান্ধীকে সাংসদ পদ থেকে খারিজ করা হয়েছে। সুরাট হাইকোর্ট তাঁকে দুবছরের জন্য কারাদন্ড দেওয়ার পরেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। মোদীর পদবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। আর তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক বিজেপি এমএলএ। এরপর আদালত তাঁকে দুবছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত জামিন পান। তবে এসবের মধ্যে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে দেশ জুড়েই প্রতিবাদে নেমেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিরোধীরাও এনিয়ে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। এই ঘটনা শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসকে কতটা লাভবান দেবে সেটা বিতর্কের বিষয়। বাস্তবে বিরোধীরা কতটা লাভবান হবে তা নিয়ে চর্চা চলছে পুরোদমে। তবে তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা অবশ্য় দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধীর এই সাংসদ পদ খারিজের জেরে বিরোধীরা সহজেই একজোট হতে পারবেন। তিনি বলেন, দেখুন এটা একটা ভালো সূচনা।