ঘটনা আমেরিকার ওয়াশিংটনের। সেখানে ডাউনটাউনে এক রেস্তেরাঁর বাইরে মারপিটের ঘটনায় আহত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক তানেজা। ইন্দো-মার্কিনি এই বিবেক তানেজা প্রযুক্তিবিদ হিসাবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভার্জিনিয়ায় এক্সিকিউটিভ পদে ছিলেন। কে অই বিবেক তানেজা? জেনে নেওয়া যাক, তাঁর সম্পর্কে।
ঘটনার দিন কোন অবস্থায় পাওয়া যায় তানেজাকে?
জানা গিয়েছে, পুলিশ অফিসাররা যখন সেখানে পৌঁছান তখন তানেজা রেস্তোরাঁর সামনে মারধর খেয়ে পড়েছিলেন। আহত অবস্থায় তিনি সেখানে ছিলেন। গুরুতরভাবে আহত ছিলেন তিনি। তারা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তিনি প্রাণে বাঁচেননি। তানেজার মৃত্যুকে পুলিশ 'হত্যা' বলে রায় দিয়েছে।
গ্রেফতারি কি হয়েছে?
শেষ পাওয়া আপডেটে শনিবার পর্যন্তও তানেজার মৃত্যুতে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। একটি সিসিটিভি ক্যামেরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বন্দি করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের হোমিসাইড ব্রাঞ্চ তানেজাকে হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে জনসাধারণের সহায়তা চাইছে।
কে বিবেক তানেজা?
তানেজা ছিলেন ডায়নামো টেকনোলজিসের প্রেসিডেন্ট ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফেডারেল সরকারের জন্য একটি প্রধান প্রযুক্তি এবং সমাধান বিশ্লেষণ প্রদানকারী ছিলেন, কোম্পানির একজন মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। এমনই তথ্য দিয়েছে এনবিসি ওয়াশিংটন। তানেজা ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয় এবং জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের শিক্ষা জীবন সম্পূর্ণ করেছেন।
তানেজার পরিবার
৪১ বছর বয়সী বিবেক তানেজার পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। প্রশ্ন হল, কে বা কারা তানেজার সঙ্গে সেই দিন রেস্তোরাঁর বাইরে গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন? কী থেকে সূচনা হয়েছিল সেই সংঘাতের। জাতিবিদ্বেষ ঘিরে ইতিমধ্যেই আমেরিকায় একাধিক ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। বহু রক্তাক্ত পর্বও তা নিয়ে দেখেছে সেদেশ। তবে তানেজার মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
পুরস্কর ঘোষণা
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পাকড়াও করতে পুলিশ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের রাস্তায় ঘটে যাওয়া সেদিনের ঘটনা কারোর চোখে পড়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত করছে পুলিশ। যে কারো কাছে তানেজার মামলার তথ্য আছে তাকে 202-727-9099 নম্বরে পুলিশকে কল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কেউ 50411 নম্বরে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে বিভাগের টেক্সট টিপ লাইনে বেনামী তথ্য জমা দিতে পারেন। উল্লেখ্য, এই হত্যাকাণ্ডের পর কতদিনে সন্দেহভাজনকে বাইডেন প্রশাসন গ্রেফতার করতে পারে, সেদিকে তাকিয়ে এদেশও।