বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। সেই কারণেই এখানেও দাম বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের। লোকসভায় সোমবার এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
হরদীপ জানান, দেশের মোট চাহিদার ৮৫%-ই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই বাইরে যে দাম নির্ধারণ করা হবে, তার প্রভাব দেশের বাজারে পড়তে বাধ্য।এ বিষয়ে এর আগের সরকারকেও দোষারোপ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১০-এ এই সেক্টরে ভুল নীতি প্রণয়নের ফল ভুগতে হচ্ছে এখন। সেই নীতি মেনেই পেট্রলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দ্রব্য ও সেবা করের বিষয়টা তাঁর বিবেচনাধীন নয়। সেটা জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত। 'কেন্দ্রীয় সরকার ৩২ টাকা প্রতি লিটার কর বসায়। তারপর আবার রাজ্য সরকারগুলি প্রায় ৩৯ টাকা পর্যন্ত কর আরোপ করে। জিএসটির বিষয়টা জিএসটি কাউন্সিলের বিবেচনাধীন বিষয়,' জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমি কক্ষের (লোকসভার) সবাইকে জানাতে চাই যে, আমরা যে ৩২ টাকা প্রতি লিটার করে কর নিই, তাই দিয়েই ৮০ কোটি নাগরিককে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে।' শুধু তাই নয়, এই করের টাকায় কৃষকরাও উপকৃত হন বলে জানান তিনি। 'এর মাধ্যমেই ২০১৪ সাল থেকে বেশিরভাগ প্রধান খাদ্যশস্যের ৩০-৭০% মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসে কিনে নিচ্ছি আমরা। এতে ফসল কাকে বিক্রি করব, বা অতিফলনে লোকসানের ভয় থেকে মুক্তি পেয়েছেন কৃষকরা।'
এই করের টাকাতেই দেশের ১০ কোটিরও বেশি কৃষক সরাসরি ব্যাঙ্কে নগদ ২ হাজার টাকা করে ২ বার পেয়েছেন, জানান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী।