দিল্লির বিলাসবহুল হোটেল জে ডব্লিউ ম্য়ারিয়ট। সেই হোটেলে ৫৫ বছর বয়সি এক মহিলাকে পণবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই দাবি করেছেন ওই মহিলা। তিনি একটি ব্যবসায়ী সংস্থার আইনি পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেন। তাঁর অভিযোগ হোটেলের দুর্বল পরিষেবা নিয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই তাঁকে আটকে রাখা হয়। তিনি হোটেলের বিল মেটানো নিয়ে কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। তারপরই তাকে আটকে রাখা হয় বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। তাদের দাবি পুরো ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে।
হোটেলের এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, যে ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরো ভিত্তিহীন। এই তদন্তে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করা হবে।
ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমাদের সমস্ত পার্টনার, অতিথির সঙ্গে আমরা সর্বোচ্চ নীতিগত মনোভাব পোষণ করি। গোটা বিষয়টি বর্তমানে পুলিশ দেখছে। এনিয়ে আমরা বিস্তারিত কিছু জানাতে পারছি না।
এদিকে মহিলা তার নাম প্রকাশ করতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, হোটেলের স্টাফরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। দুজন পুরুষ স্টাফ সবসময় তাঁর উপর নজর রাখছিলেন। তিনি অভিযোগপত্রে লিখেছেন, যখন আমি বাথরুমে যাই তখনও দুজন তার বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্য়াশানাল এয়ারপোর্ট পুলিশ স্টেশনে এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
হিন্দিতে তিনি এফআইআর লিখেছেন। এদিকে ২৬ডিসেম্বর ওই সংস্থা একটি ইভেন্টের জন্য় হোটেলের ৯৪টি ঘর ও একটি হল ভাড়া নিয়েছিল। সংস্থা হোটেল কর্তৃপক্ষকে ৫৫ লাখ টাকা দিয়েছিল আগাম। এদিকে ওই ইভেন্টে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশ থেকে অভ্যাগতরা এসেছিলেন। ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান শেষ হয়। তখন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানিয়েছেন হোটেলের পরিষেবা অত্যন্ত দুর্বল। এরপর সংস্থা আরও ২৫ লাখ টাকা ৩১ ডিসেম্বর মিটিয়ে দেয়। তাদের দাবি বাকি টাকা তারা ১ জানুয়ারি দিয়ে দেবে।
সংস্থার দাবি ৮০ শতাংশ বিল মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের ৩০টি রুম বুক করা ছিল। কিন্তু আমরা বলেছিলাম ১ জানুয়ারি আমাদের বিল মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু ওরা সেই সুযোগ না দিয়ে আমাদের আটকে রেখেছিল।
তিনি বলেন পরে দিল্লি পুলিশের সহযোগিতায় তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন। একজন শেফ তাঁকে অশ্লীলভাবে স্পর্শ করেছিলেন বলেও তার অভিযোগ।