সুইমিং পুলের জলে অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন মহিলারা! সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক মহিলা আধিকারিক এমনই অদ্ভূত মন্তব্য করেছে। সেই মন্তব্যে জেরে এখন গোটা বিশ্বে হাসির খোরাক সিত্তি হিরমায়াত্তি নামের ওই আধিকারিক। ট্রিবিউন জাকার্তকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, 'এমন কিছু বিশেষ ধরণের শক্তিশালী বীর্য রয়েছে যা সুইমিং পুলে কোনও মহিলাকে সঙ্গম ছাড়াই অন্তঃসত্ত্বা করে দিতে পারে। কোনওরকম সুরক্ষা ছাড়া মহিলাদের সঙ্গে জলে থাকা অবস্থায় কোনও পুরুষের শারীরিক উত্তেজনার ফলে বীর্যপাত হতে পারে, যা প্রেগন্যান্সির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যদি সেই সময় মহিলাটি সেক্সুয়ালি খুব বেশি সক্রিয় থেকে থাকেন'।
এই মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই হইচই পড়ে যায় ইন্দোনেশিয়া জুড়ে। নড়চড়ে বসেন সেই দেশের চিকিত্সকরা। তাঁদের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় এই তথ্য সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। কোনওভাবেই এই প্রক্রিয়ায় কোনও নারী অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন না, সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ইন্দোনেশিয়ার চিকিত্সক সংগঠনের তরফে।ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ডেলি মেইল এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনার পাত্রী হয়ে উঠেন সিত্তি হিরমায়াত্তি নামের ওই শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিক। নিজের মন্তব্যের জন্য অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সিত্তি। তিনি জানিয়েছেন এটা একান্তভাবেই তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ছিল, ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষা কমিশনের( KPAI) তরফে কোনও বক্তব্য তিনি রাখেননি। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য তিনি দুঃখিত।
‘গোমূত্র খেয়ে আমার স্তন ক্যানসার সেরেছে'-বলে গত বছর আজব দাবি করেছিলেন বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো এমনটাও বলে দিয়েছিলেন, ‘গোরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে, তাই দুধের রঙ হলদে হয়। দেশি গোরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণনাড়ি থাকে। সূর্যের আলো পড়লে, সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়।’ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছিলেন, ‘জলাশয়ে হাঁস সাঁতার কাটলে জলে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ’। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে প্রত্যেক দেশেই যে এমন কিছু মানুষ থেকে থাকেন যাঁদের মতের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক বাখ্যার ফারাক,আকাশ-পাতালের চেয়ে বেশি দীর্ঘ।