আইনি জটিলতা এবং দুর্নীতির কারণে বছরের পর বছর স্কুলের চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার যোগ্য চাকরি প্রার্থী। এই ঘটনা বাংলার ক্ষেত্রে অতি পরিচিত। তবে দক্ষিণী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানাতেও এই দৃশ্য নতুন নয়। বিগত ২৪ বছর ধরে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ ঝুলে বিভিন্ন জটিলতের জেরে। এই আবহে ২৪ বছর পর এক চাকরি প্রার্থীর নাম এল যোগ্যদের তালিকায়। এবং সেই প্রার্থী আজ অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দলের বিধায়ক!
চাকরি না পেয়ে আন্দোলন করতে করতে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন করনম ধর্মসারি। ৫৪ বছর বয়সি এই বিধায়ক ২৪ বছর আগে স্কুল শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি এই বিধায়কের নামই যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকায় উঠেছে। বর্তমানে তিনি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সদস্য। হিন্দুস্তান টাইমসকে এই বিষয়ে বিধায়ক বলেন, ‘আমি রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে একটি ফোন পাই সোমবার। তিনি বলেন যে সরকারের প্রকাশিত নয়া তালিকা অনুসারে ১৯৯৮ সালের শিক্ষকের চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে আমার নাম ছিল। এরপরে, আমার সাথে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন বন্ধুর কথা হয়। আমি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলাম।’
কৃষিকাজে যুক্ত পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন ধর্মসারি। YSRCP নেতা ১৯৮৯ সালে অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ১৯৯৩ সালে ডিস্টেন্সে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এডুকেশন ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ধর্মসারি বলেন, ‘আমার অনেক বন্ধুর মতো আমিও শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। আমি ১৯৯৮ সালে ইংরেজি এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়গুলির জন্য শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। বিশাখাপত্তনমের তৎকালীন কালেক্টর নরসিংহ রাও আমার ইন্টারভিউ নেন। সেখানে আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম এবং চাকরি পাওয়ার আশা করছিলাম।’ এরপরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ধর্মসারি বলেন, ‘সেই সময় আমার বয়সি ছিল ৩০ বছর। আমি কংগ্রেস নেতা ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বিশাখাপত্তনম জেলায় যুব কংগ্রেসের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে শুরু করি।’ ২০০৪ সালে প্রথমবার বিধায়ক হন ধর্মসারি। এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালে নির্বাচনে হারলেও ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি।