অনলাইন গেমিং অ্যাপের সাহায্যে কিশোর-কিশোরীদের ধর্ম রূপান্তরিত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে এল এমনই তথ্য।
উত্তরপ্রদেশর পুলিশ একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের সন্ধান পেয়েছে যেখানে শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কাজ করা হচ্ছে। এই কাজের জন্য চক্রান্তকারীরা এই গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কিশোর কিশোরীদের জাকির নায়েকের বিভ্রান্তিমূলক ভিডিয়ো দেখাচ্ছে, যাতে কিশোর কিশোরীরা নিজের ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
এই চক্রান্তমূলক অনলাইন গেমিং অ্যাপটি হল, 'ফর্টনাইট'। এই অ্যাপটির হয়ে প্রচার করার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও একজন অভিযুক্ত আত্মগোপন করেছে। যদিও পুলিশ তাকে ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে এই অনলাইন গেমিং অ্যাপটি ব্যবহার করে এখনও পর্যন্ত চারজন নাবালককে তাদের ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন গাজিয়াবাদের, একজন ফরিদাবাদের ও আর একজন চণ্ডীগড়ের।গাজিয়াবাদের ডেপুটি কমিশনার নিপুন আগরওয়াল, বলেছেন যে, শাহনওয়াজ খান নামের যে চক্রান্তকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে একটি ছদ্মনামের সাহায্য নিয়ে শিশুদের টার্গেট করত। তিনি আরও বলেন যে যখন কিশোর-কিশোরীরা খেলায় হেরে যেত, তখন তাদের জেতার লোভ দেখিয়ে কোরানের আয়াত পড়তে বলা হত। এভাবে কোয়ানের আয়াত পড়িয়ে তাদের ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করা হত।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে অভিযুক্তরা এই অনলাইন গেমিং অ্যাপে চ্যাটিং এর মাধ্যমে শিশুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করত। যেখানে তারা জাকির নায়েক এবং তারিক জামিল সহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী মুসলিম প্রচারকদের ভিডিয়ো দেখাত। তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে এই গেমের চ্যাটিং ইঞ্জিন ইউরোপের অনেক শিশুরাও ব্যবহার করত, যা নির্দেশ করে যে এই ঘটনাটির একটি আন্তর্জাতিক যোগসূত্র রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্য বর্তমানে চণ্ডীগড় এবং ফরিদাবাদের পুলিশদের সাথে কাজ করছেন। ভারতের সংবিধান গণতন্ত্রের কথা বলে, যেখানে সবাই সবার নিজস্ব বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ধর্ম পালন করতে পারে কিন্তু এরকম কাজ শুধু ভারতের সংবিধানে অমর্যাদা করছে তাই নয়। এর সাথে তুলে ধরছে সমাজের এক অন্ধকার চিত্র।