বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > প্রণব থেকে গগৈ, ২০২০ সালে চিরবিদায়ে ভারতীয় রাজনীতির যে উজ্জ্বল নক্ষত্ররা
প্রণব থেকে গগৈ, ২০২০ সালে চিরবিদায়ে ভারতীয় রাজনীতির যে উজ্জ্বল নক্ষত্ররা Updated: 30 Dec 2020, 03:14 PM IST Uddalak Chakraborty কোভিড অতিমারী প্রকোপ ছাড়াও ২০২০ সালে ভারত হারিয়েছে একাধিক বিশিষ্ট রাজনীতিককে, যাঁদের অবদান দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সক্রিয় রাজনীতির আকাশে এই জ্যোতিষ্করা এক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বছরশেষে আরও একবার স্মৃতিচারণায় উঠে এল সেই সব প্রয়াত নেতাদের কথা, যাঁদের অবদানে একদা ঋদ্ধ হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। 1/8 প্রণব মুখোপাধ্যায়: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, কংগ্রেসের অন্দরমহল ও দেশের রাজনীতিতে একদা ‘চাণক্য’ হিসেবে খ্যাত প্রণব মুখোপাধ্যায় কোভিড অতিমারীর জেরে এ বছর প্রয়াত হয়েছেন। তিনি ছিলেন ভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি (২০১২-২০১৭)। গত ১০ অগস্ট নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার খবর নিজেই পোস্ট করেছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। হোম কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় শৌচাগারে পিছলে পড়ে মাথায় আঘাত লাগলে তাঁকে দিল্লিতে সেনাবাহিনীর রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধলে তাঁর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পরে বেশ কিছু দিন তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়। ১৩ অগস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, গভীর কোমায় আচ্ছন্ন হয়েছেন প্রণববাবু। ৩১ অগস্ট ৮৪ বছর বয়েসি বাংলার শ্রদ্ধেয় নেতার মৃত্যুসংবাদ টুইটারে পোস্ট করেন তাঁর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। 2/8 রাম বিলাস পাসওয়ান: গত ৮ অক্টোবর প্রয়াত হন বিহারের স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাম বিলাস পাসওয়ান। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তাঁর মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন প্রবীণ নেতার রাজনীতিবিদ ছেলে চিরাগ পাসওয়ান। মৃত্যুর আগে রাম বিলাস পাসওয়ানের হার্টে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। এর পর কয়েক সপ্তাহ তিনি হাসপাতালের শয্যাতেই কাটিয়েছিলেন। 3/8 আহমেদ প্যাটেল: কংগ্রেস গুরু হিসেবে পরিচিত সাংসদ আহমেদ প্যাটেল দলের সভাপতি সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব হিসেবেও বহাল ছিলেন। কোভিড আক্রান্ত হয়ে একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হলে তিনি গত ২৫ নভেম্বর ২০২০ প্রয়াত হন। কোভিড সংক্রমিত হওয়ার পরে তাঁকে দিল্লির মেদান্ত হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভরতি করা হয়েছিল। টুইটারে তাঁর মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করেন প্রয়াত নেতার ছেলে ফয়জল প্যাটেল। 4/8 অমর সিং: কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে গত ১ অগস্ট সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন সমাজবাদী পার্টি নেতা ও রাজ্য সভার সাংসদ অমর সিং। আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ঘিরে মতান্তরের জেরে বামেরা সমর্থন তুলে নিলে ইউপিএ সরকারের শাসনকালে দিল্লির রাজনৈতিক আকাশে গুরুত্ব বাড়ে অমর সিংয়ের। ৩৯ সদস্য নিয়ে ইউপিএ সরকারকে সমর্থন জানায় অমর সিংয়ের সমাজবাদী পার্টি। 5/8 তরুণ গগৈ: কোভিড আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ নভেম্বর প্রয়াত হন অসমের দীর্ঘমেয়াদী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। সংক্রমিত হওয়ার পরে ২৬ অগস্ট তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। এর পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কিন্তু অতিমারীর জেরে তাঁর শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তার জেরেই শেষ পর্যন্ত জীবনাবসান হয় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার। 6/8 লালজি ট্যানডন: গত ২১ জুলাই প্রয়াত হন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল লালজি ট্যানডন। দীর্ঘ রোগভোগের পরে ৮৫ বছর বয়সে তিনি লখনউয়ের মেদান্ত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০৯ সালের মে মাসে লখনউ থেকে তিনি নির্বাচিত হয়ে তিনি ১৫তম লোক সভায় স্থান পেয়েছিলেন। মধ্য প্রদেশ ছাড়া একদা বিহারের রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন ট্যানডন। বিহারের রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উন্নতিসাধনে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। 7/8 মোতিলাল ভোরা: গত ২১ ডিসেম্বর ৯৩তম জন্মদিনেই প্রয়াত হন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এবং রাজনীতি জগতের উজ্জ্বল তারকা মোতিলাল ভোরা। তিনি মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শ্বাসকষ্ট ও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর তাঁকে ফর্টিস হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। দুই দিন পরে সেখানেই তাঁর প্রয়াণ ঘটে। অক্টোবর মাসে তাঁর দেহে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে, কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে ১৬ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন। 8/8 যশওয়ান্ত সিং: গত ২৭ সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে প্রয়াত হন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশওয়ান্ত সিং। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারে তিনি প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও অর্থ মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছিলেন। বিজেপি-র জন্মলগ্ন থেকেই তিনি দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।