দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে সরাসরি জুড়ে যাবে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর জন্য কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে একটি ৬.৮ কিমি দীর্ঘ এলিভেটেড পথ বা উড়াল পথ তৈরি হতে চলেছে। এর জন্য ইতিমধ্যেই নির্মাণ সংস্থা বাছার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখন জল্পনা দেখা দিয়েছে টোল আদায়ের ইস্যুতে।
1/5 জানা গিয়েছে, এই নতুন উড়াল পথের পরিকাঠামোগত খরচ তোলার জন্য টোল বসানো হবে। তবে এই টোল ইস্যুতে কিছু জটিলতা রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই উড়াল পথে টোল আদায়ের দায়িত্ব থাকবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা এনএইচএআই-এর ওপর। যদিও টোল আদায়ের পদ্ধতি এখনও স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, টোল নিয়ে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই এই ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
2/5 বিদ্যাসাগর সেতু থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে তৈরি করা হবে এই উড়ালপথ। ৬.৮ কিমি দীর্ঘ এই উড়ালপথ হবে ছয় লেনের। এই উড়ালপথ ধরেই বিদ্যাসাগর সেতু থেকেই সরাসরি ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে চলে যাওয়া যাবে। এই উড়ালপথ নির্মাণ করতে খরচ হবে দেড় হাজার কোটি টাকা।
3/5 এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী জমি জোগাড় করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই বাবদ রাজ্যের তরফে দু’ থেকে আড়াইশো কোটি টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রকে। তবে এই উড়ালপথের জন্য যদি এনএইচএআই টোল গ্রহণ করে, তাহলে রাজ্যকে জমির টাকা দিতে হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
4/5 এদিকে টোল পরিকাঠামো বসানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল দুই টোল সংগ্রহ কেন্দ্রের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর পর থেকেই এই উড়াল পথ তৈরি হওয়ার কথা। অথচ সেখানেই একটি টোল সংগ্রহের কেন্দ্র আছে। এই আবহে টোল কেন্দ্র তৈরির জন্য জায়গা চাই।
5/5 এদিকে ছয় লেনের উড়ালপথে টোল কেন্দ্রের জন্য বড় জায়গা থাকার কথা নয়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই আবহে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল কেন্দ্র থেকেই ছয় লেনের এই উড়ালপথের টোল সংগ্রের কাজ চলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, সব দিকে খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।