1/7একটি জাতির পতাকা তার স্বাধীনতার প্রতীক। ১৯৪৭ সালে ১৫ অগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের কয়েক দিন আগেই জাতীয় পতাকা বর্তমান রূপ গ্রহণ করে। সেই বছরেই ২২ জুলাই গণপরিষদ জাতীয় পতাকাকে মান্যতা দেয়। ১৫ অগস্ট ১৯৪৭ এবং ২ জানুয়ারি ১৯৫০-এর সময়কালে এটি ভারতের আধিপত্যের প্রতীক জাতীয় পতাকা ছিল। তারপরে এটি ভারত প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা
2/7ভারতীয় জাতীয় পতাকাকে আজ যে রূপে আমরা দেখি, শুরুর দিনেই কিন্তু তা এমনটা ছিল না। ১৯০৬ সালের ৭ অগস্ট ভারতের প্রথম অনানুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করা। স্থান আমাদের কলকাতার পার্সি বাগান স্কোয়ার (গ্রিন পার্ক)। আর এই পতাকা লাল, হলুদ এবং সবুজ রঙের ছিল। মাঝে দেবনগরী অক্ষরে লেখা বন্দে মাতরম। উপরে পদ্মের সারি। সৌজন্যে: নোইন্ডিয়া.গভ.ইন (knowindia.gov.in)
3/7ইতিহাসে উল্লেখিত দ্বিতীয় পতাকাটি উত্তোলন করেন মাদাম কামা এবং তার নির্বাসিত বিপ্লবীদের দল। তবে সেটা দেশের মাটিতে নয়, প্যারিসে। ১৯০৭ (ভিন্ন মতে ১৯০৬) সালের এই পতাকাও কলকাতার পতাকারই অনুরূপ ছিল। তবে এই পতাকায় রঙের অবস্থান কিছুটা ভিন্ন ছিল। আর তাতে বেশ কিছু প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছিল। পদ্মের বদলে ছিল তারা। এটি বার্লিন কমিটির উত্তোলন করা পতাকা হিসাবে পরিচিত। সৌজন্যে: নোইন্ডিয়া.গভ.ইন (knowindia.gov.in)
4/7১৯১৭ সালে হোমরুল আন্দোলনের সময়ে ইতিহাসে উল্লেখিত তৃতীয় পতাকাটি উত্তোলন করা হয়। এর মূলে ছিলেন আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ অ্যানি বেসান্ত এবং লোকমান্য তিলক। ভারতের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসে এই সময়টা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। এই সময় থেকেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, রাজনৈতিক কলাকৌশল প্রয়োগ, আইনি পন্থার ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেন ভারতবাসী। জাতীয় পতাকার এই সংস্করণটি প্রথম দুটি থেকে বেশ আলাদা ছিল। এটিতে অনুভূমিকভাবে লাল এবং সবুজ ছিল। সপ্তর্ষিমন্ডলের সাতটি তারা, ব্রিটিশ ইউনিয়ন জ্যাক, একটি সাদা অর্ধচন্দ্র ও তারকা চিহ্ন ছিল। সৌজন্যে: নোইন্ডিয়া.গভ.ইন (knowindia.gov.in)
5/7চতুর্থ পতাকাটি ১৯২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। অন্ধ্রের এক যুবক এই পতাকার নকশা করেন এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনের সময়ে এটি মহাত্মা গান্ধীর কাছে নিয়ে যান। ভারতে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এতে প্রথমে দুটি রং ছিল- লাল এবং সবুজ। মহাত্মা গান্ধী অবশিষ্ট জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সাদা দাগটি যোগ করেন। সেই সঙ্গে জাতির অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে চরকা যোগ করেন। সৌজন্যে: নোইন্ডিয়া.গভ.ইন (knowindia.gov.in)
6/7১৯৩১ সালে বর্তমান পতাকা রূপ পেতে শুরু করে। সেই সময়ে এটি ভারতের জাতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধ চিহ্ন হিসাবেও গৃহীত হয়েছিল। এই সময়েই জাতীয় পতাকা হিসেবে তেরঙ্গাকে গ্রহণের জন্য একটি প্রস্তাব পাস হয়। জাতীয় পতাকার ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত। এই পতাকায় গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ রঙ ছিল। চরকা ছিল এর কেন্দ্রে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে অবস্থান। এর আগের পতাকায় রঙের মাধ্যমে সম্প্রদায় নির্দেশ করা হয়েছিল। কিন্তু এটির ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে এই রঙ কোনও সাম্প্রদায়িক গুরুত্ব বহন করে না। গেরুয়া শক্তি ও সাহসের প্রতীক। সাদা সত্য ও শান্তির প্রতীক। সবুজ উর্বরতা, বৃদ্ধি এবং প্রকৃষ্টতার প্রতীক। সৌজন্যে: নোইন্ডিয়া.গভ.ইন (knowindia.gov.in)
7/7ভারতের বর্তমান জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার পর এসেছে। পূর্ববর্তী পতাকার রঙ এবং তাৎপর্য একই রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র পতাকার কেন্দ্রে চরকার জায়গায় সম্রাট অশোকের ধর্ম চক্র যোগ করা হয়। এটি নীতির চক্রের প্রতীক। ধর্ম চক্রের মাধ্যমে বোঝানো হয় যে চলন, পরিবর্তনই জীবন। থেমে থাকা অবক্ষয়। ছবি সৌজন্যে: পিটিআই (PTI)