ইএম বাইপাসের ওপর দিয়ে বিমানবন্দরগামী মেট্রোর অরেঞ্জ রুটে জট রয়েছে ভিআইপি বাজারে। সেই জট এবার শীঘ্রই খুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের কর্তারা এই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নবান্নে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং সিইএসসি-র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
1/5উল্লেখ্য, ভিআইপি বাজারে যেখানে দিয়ে মেট্রোর ব্রিজ যাওয়ার কথা, সেখানে ভূগর্ভে সিইএসসির বিদ্যুতের তার রয়েছে। যা নিয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। হাই ভোল্টেজ এই বিদ্যুতের তারগুলিকে সেখান থেকে সরানো হবে। তারপরই এই এলাকায় নির্বিঘ্নে মেট্রোর কাজ করা যাবে। তাহলে রুবি থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত লাইনের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
2/5এদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই মেট্রোর ভূগর্ভস্থ টানেল তৈরির কাজের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে চিংড়িঘাটা এবং মেট্রোপলিটান এলাকা। নিউ গড়িয়া থেকে রাজারহাট হয়ে বিমানবন্দরগামী মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের জন্য এখানেই তৈরি হবে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল। শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে।
3/5চিংড়িঘাটায় মেট্রোর আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের কাজ চললে যানজটের আশঙ্কা থাকবে। এই আবহে ২৭ মার্চের আগে এখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। শুক্রবার নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সরকারের তরফে জানানো হয়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই চিংড়িঘাটা এবং মেট্রোপলিটান এলাকা হস্তান্তর করা হবে রেলের কাছে।
4/5এদিকে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ৮০০ মিটার লম্বা এই আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল তৈরির কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে সিটি সেন্টার টু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোর লাইন। টানেল নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনের আশা, আগামী অগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে টানেলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে।
5/5নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের সিংহভাগ লাইন মাটির ওপর দিয়েই যাবে। মাটির ওপরই থাকবে ২৪টি স্টেশন। এই রুটের মাত্র ৮০০ মিটার অংশ মাটির নীচে থাকবে। ওই অংশের কাজের জন্যই চিংড়িঘাটা এবং মেট্রোপলিটান হস্তান্তর করা হবে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের হাতে। জানা গিয়েছে, এই টানেল নির্মাণের জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ব্যবহৃত 'টানেল বোরিং মেশিন' ব্যবহার করা হবে না। 'কাট অ্যান্ড কভার টানেলিং'-এর মাধ্যমে ওই টানেল নির্মাণ করা হবে।