বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Bengali Scientist in Xposat Mission: 'প্রস্তাব দিয়েছিলাম ২০০৬-এ…', ব্ল্যাকহোল অভিযানের অন্যতম 'মাথা' এক বাঙালি বিজ্ঞানী
Bengali Scientist in Xposat Mission: 'প্রস্তাব দিয়েছিলাম ২০০৬-এ…', ব্ল্যাকহোল অভিযানের অন্যতম 'মাথা' এক বাঙালি বিজ্ঞানী Updated: 02 Jan 2024, 03:26 PM IST Abhijit Chowdhury বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় রহস্য নাকি লুকিয়ে কৃষ্ণগহ্বরে। সেই কৃষ্ণগহ্বরের আঁধারে উঁকি দিয়ে রহস্যে আলোকপাত করতে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর বিশেষ কৃত্রিম উপগ্রহ তথা মহাকাশ পর্যবেক্ষণাগার - এক্সপোস্যাট। আর এই এক্সপোস্যাট অভিযানের অন্যতম কান্ডারি এক বাঙালি বিজ্ঞানী - বিশ্বজিৎ পাল। 1/6 ১ জানুয়ারি ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় এক্সপোস্যাট। পিএসএলভি-সি৫৮ রকেটে করে এই স্যাটেলইটটি মাহাকাশে যায়। উৎক্ষেপণের ২২ মিনিট পরই এই উপগ্রহটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরত্বে ৬ ডিগ্রি হেলে থাকা নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায়। এই অভিযানের অন্যতম রূপকার হলেন বেঙ্গালুরুর 'রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউট'-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিশ্বজিৎ পাল। 2/6 ইসরোর এই কৃত্তিম উপগ্রহে রয়েছে দু’টি পেলোড। এর একটি হল পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রেজ বা পোলিক্স এবং অপরটি হল এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং বা এক্সস্পেক্ট। এর মধ্যে পোলিক্স তৈরির পরিকল্পনা, নকশা, সবটাই বিশ্বজিতের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানা গিয়েছে। বেঙ্গালুরু নিবাসী এই বাঙালি বিজ্ঞানী জানান, কসমিক এক্স-রে’র পোলারাইজেশন নিয়ে গবেষণায় সাহায্য করবে এই অভিযান। এই বিষয়ে গবেষণার জন্য ইসরোর তরফ থেকে এটাই দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। 3/6 পোলিক্সের মতো পেলোড মহাকাশে পাঠিয়ে যে এই ধরনের গবেষণা চালানো যায়, সেই প্রস্তাব নাকি ২০০৬ সালেই দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই প্রস্তাবের ১০ বছর পর, ২০১৬ সালে মেলে অনুমোদন। এই মাঝের দশ বছরের সময়কালে নাকি পেলোডের প্রোটোটাইপ মডেল তৈরির করার কাজ চলে। পরীক্ষাগারে সেই প্রোটোটাইপ ব্যবহার করে দেখানো হয় যে এই পেলোড মহাকাশে পাঠিয়ে গবেষণা বাস্তবসম্মত। 4/6 বিশ্বজিৎ জানান, পোলিক্সের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০১৭ সালে পেলোড তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের মধ্যে এই পেলোড মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে কোভিডের জন্য কাজ অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, পোলিক্স পেলোডটি এক্স-রে ও তার পোলারাইজ়েশন ব্যবহার করে নিকটবর্তী কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন স্টার থেকে ধেয়ে আসা বিকিরণ খুঁজে বার করবে ও গবেষণা চালাবে। 5/6 উল্লেখ্য, কোনও নক্ষত্রের জ্বালানি যখন ফুরিয়ে গেলে সেটি মরে যায়। এরপর নিজেরই মাধ্যাকর্ষণের টানে তারাটি ধ্বংস হয়ে যায়। তখন সেখানে পড়ে থাকে নিউট্রন স্টার বা তৈরি হয় কৃষ্ণগহ্বর। প্রসঙ্গত, ব্রহ্মাণ্ডে কৃষ্ণগহ্বরের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি। নিউট্রন স্টারের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। আগামী পাঁচবছর ধরে মহাকাশে এক্সপোস্যাট উপগ্রহ সেই সংক্রান্ত গবেষণা চালাবে। 6/6 এদিকে এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বজিৎ বড় হয়ে উঠেছিলেন উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরে। রায়গঞ্জ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বিশ্বভারতী থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ থেকে করেন পিএইচডি। তার পরে রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এখনও সেখানেই আছেন বিশ্বজিৎ।