বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Bizarre Culture: পরিবারের কারও মৃত্যু হলেই মহিলাদের আঙুল কেটে ফেলা হয়!
Bizarre Culture: পরিবারের কারও মৃত্যু হলেই মহিলাদের আঙুল কেটে ফেলা হয়! Updated: 11 Sep 2022, 10:15 AM IST Soumick Majumdar Bizarre Culture: বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বর্ণের সমাবেশ আমাদের এই পৃথিবী। নানা ধর্ম ও রীতিনীতি। তবে বিশ্বায়নের কারণে সেই রীতিনীতিতেও অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কিছু সম্প্রদায়ের প্রথা থেকেছে অক্ষত। তারই একটি জানতে পারবেন এই প্রতিবেদনে। 1/11 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-নির্ভর আধুনিক বিশ্ব। বিশ্বায়নের ঢেউয়ে ভেসে, আমরা অনেকেই ভুলে যাই যে, সেখানে আজও নানা প্রান্তে হাজারো প্রাচীন সংস্কৃতি টিকে আছে। তেমনই এক অদ্ভুত সংস্কৃতি এই উপজাতির। তাদের আঙুল কাটার এই রীতি সত্যিই অবাক করার মতো! ছবি: ফ্লিকার 2/11 কোথাকার রীতি এটি? ইন্দোনেশিয়ার দানি উপজাতির। তাদের মধ্যে এই আঙুল কাটার রীতি আজও বিদ্যমান। পরিবারের কেউ গত হলে নারীদের আঙুল কেটে ফেলা হয়। ফাইল ছবি: ইনস্টাগ্রাম 3/11 আজও দানি উপজাতি এই প্রাচীন প্রথা মেনে চলেছে। ছবি: ফ্লিকার 4/11 আশ্চর্যের ব্যাপার হল, আঙুল কাটার এই প্রথা শুধুমাত্র মহিলাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পরিবারে যিনিই গত হন না কেন, নারীদেরই আঙুল কেটে ফেলা হয়। কিন্তু পুরুষদের বেলায় এই রীতি প্রযোজ্য নয়। ছবি: ফ্লিকার 5/11 কিন্তু এভাবে আঙুল কেটে ফেলার পিছনে কারণ কী? প্রতীকী ছবি; ফেসবুক 6/11 এই উপজাতির বিশ্বাস, কারও মৃত্যু হলে, সেই পরিবারের মহিলাদের আঙুল কেটে ফেললে মৃতের আত্মা শান্তি পায়। আর সেই বিশ্বাস থেকেই এই সম্প্রদায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই প্রথা অনুসরণ করে চলেছে। প্রতীকী ছবি: ইনস্টাগ্রাম 7/11 এই উপজাতির কোনও মহিলার হাতের আঙুলগুলি লক্ষ্য করা হলেই, তাঁর পরিবারের মৃত ব্যক্তির সংখ্যা গণনা করা যায়। ছবি: ফ্লিকার 8/11 তাঁদের বিশ্বাস, আঙুল কাটার পর মহিলারা যে ব্যাথা অনুভব করেন, তাও স্বজন হারানোর স্বাভাবিক দুঃখের অংশ! উপজাতির প্রবীণদের বিশ্বাস, এই বেদনা মৃতের আত্মাকে শান্তি দেয়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম 9/11 আঙুল কাটার আগে আঙুলে দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। এটি রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। জঙ্গল থেরে সংগ্রহ করা বিশেষ ঔষধির মাধ্যমে হাত অবশ করে দেওয়া হয়। অনেকটা লোকাল অ্যানেস্থেশিয়ার মতো। এর ফলে ওই জায়গায় কোনও ব্যথা অনুভব হয় না। তারপর পাথরের ব্লেড দিয়ে আঙুলটি কেটে ফেলা হয়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম 10/11 আঙুল কেটে ফেলার আরও অনেক পদ্ধতি আছে। তবে সাধারণত এই পদ্ধতিটিই দানি উপজাতি মেনে চলে। ছবি: ফেসবুক 11/11 কিন্তু এভাবে আঙুল কাটার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, ধনুষ্টঙ্কার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া এটি বেশ অমানবিকও। ইন্দোনেশিয়া সরকার এই প্রথা নিয়ন্ত্রণের অনেক প্রচেষ্টা করেছে। দানি উপজাতির মধ্যে সচেতনতার জন্য অনেক কর্মসূচীও করা হয়েছে। তবে উপজাতির এর বড় অংশ এখনও এই প্রথা মেনে চলেছেন। ছবি: ফ্লিকার