আজই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে বঙ্গোপসাগরে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে মোখা। সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে না। বরং এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরেই রাজ্যে তাপপ্রবাহ। তবে বাংলার গা ঘেঁছে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে ছুটবে মোখা। তাতে কতটা প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গে?
1/5আজ সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় মোখার। এর জেরে আগামী দু'দিন অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আজ ও আগামিকাল আন্দামানে ঝোড়ো হাওয়ার গতি ৮০ থেকে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। এই আবহে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
2/5আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোকা আছড়ে পড়বে। এদিকে বাংলাদেশের দিকে অভিমুখ থাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেভাবে পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে। তবে সুন্দরবন ও বাংলার উপকূলের বেশ কাছে দিয়েই এই ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাবে নিজের গন্তব্যের দিকে। সমুদ্রের ওপরই অনেকটা জায়গা জুড়ে প্রভাব বিস্তার করে এগিয়ে যাবে মোখা। এর জেরে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়।
3/5আগামী কয়েকদিনে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি পর্যন্ত ছুঁতে চলেছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজই বঙ্গোপসাগরের ওপর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় ১০০ কিমির বেশি জোরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এরপর আজ সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছুঁতে চলেছে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
4/5১১ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১২ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ঊপকূলের আরও কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও এর হালকা প্রভাব পড়তে পারে সেদিন। এদিকে ১১ এবং ১২ তারিখ মায়ানমারের পশ্চিম উপকূলে এই সিস্টেমের সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে।
5/5১৩ তারিখ পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ১২ এবং ১৩ তারিখ দক্ষিণের কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ১৩ তারিখ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ঘেঁষে তাণ্ডব চালাতে পারে মোখা। সেদিন বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ উপকূলেও বিস্তর প্রভব ফেলবে এই ঘূর্ণিঝড়। ১৪ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হবে। তখন ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটা দূরে চলে যাবে।