আরও গতি বাড়াল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দ্রুতগতিতে যেমন বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে মোখা, তেমনই উপকূল পার করার সময় ঝড়ের গতিবেগও বেড়েছে। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখার যাবতীয় তথ্য দেখে নিন এখানে -
1/5১৭৫ কিলোমিটার নয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূল পার করবে, সেইসময় ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিমিতে পৌঁছে যাবে। এমনই পূর্বাভাস দিল ভারতীয় মৌসম ভবন। অর্থাৎ আরও আতঙ্ক বাড়ল কক্সবাজার, চট্টগ্রামের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায়। (ছবি সৌজন্যে এপি)
2/5ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত (দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট) অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে 'মোখা'। শেষ ছ'ঘণ্টায় ১৩ কিমি বেগে এগিয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। যা ভারতের পোর্টব্লেয়ারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ৫৯০ কিমি, বাংলাদেশের কক্সবাজারের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৮০ কিমি এবং মায়ানমারের সিটওয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪৯০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
3/5ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টায় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে মোখা। তারপর রবিবার দুপুর নাগাদ কক্সবাজার ও মায়ানমারের কেয়াকফিউয়ের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূল পার করবে। যা সিটওয়ের নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে যাবে। সেইসময় ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ কিমি বেগে ঝড় হবে। কখনও কখনও হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ২০০ কিমিতে পৌঁছে যেতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)
4/5সেই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-সহ উপকূলীয় জেলা থেকে মানুষদের সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তৈরি করা হয়েছে প্রচুর শিবির। সেখানে ইতিমধ্যে অনেক মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রবিবারের মধ্যে যত বেশি সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া যায়, সেই প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থগিত রাখা হয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষা। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
5/5ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের জানানো হয়েছে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মতো জায়গায় জোয়ারের সময়ের থেকেও আট থেকে ১২ ফুট বেশি জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা আছে। ফেনি, নোয়াখালি, চাঁদপুর, ভোলা, লক্ষ্মীপুরের মতো জায়গায় জলোচ্ছ্বাস পাঁচ থেকে সাত ফুট হতে পারে। তার জেরে নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি)