ডিএ আন্দোলনের সেঞ্চুরি পার হয়েছে। এই আবহে এবার শুরু হয়েছে 'ছুটি বিতর্ক'। নরমে-গরমে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের দমাতে চাইছে শাসকদল। গত রবিবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অখিল গিরি এই বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন। এরপর গতকাল নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছিল।
1/5গতকাল নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, যাতে অফিসের সময়ে আন্দোলন না করা হয়। তিনি বলেন, 'অফিসের সময়ে আপনারা রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। এতে মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আন্দোলন করলে অফিসের সময়টুকু বাদ দিয়ে করুন।' মমতার কথায়, সরকারি চাকরি করায় কারণে আন্দোলনকারীরা সব সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছেন। তাহলে কেন তাঁরা কাজ করবেন না?
2/5এর আগের দিন ডিএ আন্দোলনকারীদের কালিমালিপ্ত করতে অখিল গিরি বলেছিলেন, 'যাঁরা ধরনায় বসেছেন তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন না করেই আন্দোলন করছেন। আমি নিজে তিন থেকে চারজন বিএলআরও-র বদলির জন্য বলেছি। পুলিশের এক আধিকারিক গিয়েছিলের এর মধ্যে এক বিএলআরও-র কাছে। সেই পুলিশকর্তার থেকেও কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে। টাকা না দিলে কেউ কাজ করছে না।'
3/5ডিএ আন্দোলনকারীদের তোপ দেগে কারামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'অফিস করবে না, দিনের পর দিন কামাই করবে। আর তা সত্ত্বেও বেতন নেবেন? এই আন্দোলনকারীদের বেতন কেটে নেওয়া হোক। অফিস করো, কাজ করো, তাহলে বেতন পাবেন। দিনের পর দিন অফিস কামাই করে ধরনায় বসে বা আন্দোলন করলে হবে না। দায়িত্ব পালন না করে অধিকার আদায় করতে গেলে হবে না।'
4/5এই আবহে এবার মুখ খুললেন ডিএ আন্দলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, 'আমাদের জমে থাকা ছুটি খরচ করেই আন্দোলন করছি। প্রতি বছর ১৫ টা করে ছুটি জমা হয় আমাদের। এত বছর ধরে কাজ করায় আমাদের অনেক ছুটিই জমা হয়েছে, সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও স্কুলে এখন গরমের ছুটি। তাই শিক্ষকরা সেই ছুটিতেই আন্দোলন করছেন।'
5/5এরপর ভাস্কর ঘোষের আরও দাবি, অধিকার আদায়ের জন্য সরকারি কর্মীদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, 'আন্দোলনের জন্য সব ছুটি শেষ প্রয়োজনে বেতন না নিয়েই আন্দোলন জারি থাকবে।' তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে অনেক মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর অন্যান্য মন্ত্রীরাও নিজেদের নিজেদের দফতরে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন যে কীভাবে ছুটি নিয়ে সরকারি কর্মীরা আন্দোলন করছেন।