২০২২-২৩ অর্থবর্ষের আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় ঘনিয়ে আসছে। তার আগেই আয়কর ছাড় পাওয়ার উপায় খুঁজছেন করদাতারা। এই আবহে জেনে রাখা ভালো, অনেক বিনিয়োগের স্কিমেই আয়কর ছাড়ের সুবিধা মেলে বিভিন্ন ধারায়। এর মধ্যে পিপিএফ, এনপিএস রয়েছে। জীবন বিমার ক্ষেত্রেও আয়করে ছাড় মেলে। গৃহঋণ নিলেও আয়কর ছাড়ের বড় সুবিধা পাওয়া যায়।
1/5পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করলে আয়কর ছাড় মেলে। আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত পিপিএফ-এ কর ছাড় পাওয়া যায়। বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্ক ছাড়াও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। বর্তমানে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মিলছে পিপিএফ-এ।
2/5ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করলে আয়কর ছাড় মেলে। আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায় এনপিএস-এ। এছাড়াও ৮০সিসিডি ধারায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা কর ছাড় পাওয়া যায় এনপিএস-এ বিনিয়োগ করলে। এছাড়া ULIP, করছাড়ের মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটে ৮০সি ধারায় করছাড় মেলে। পেনশন প্ল্যানে ৮০ সিসিসি ধারায় করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
3/5সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগে আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এই স্কিমটি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য। পোস্ট অফিসে কিংবা ব্যাঙ্কে এই স্কিমের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এই অ্যাকাউন্টে জমা টাকার ওপরে আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়। বছরে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায় এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে। বর্তমানে এই স্কিমে সুদের হার ৭.৪ শতাংশ।
4/5সন্তানদের শিক্ষা ঋণে সুদ, বাড়ির জন্য ঋণের ওপর আয়কর ছাড়ের দাবি জানানো যায়। আয়কর আইনের ২৪বি ধারার অধীনে কোনও করদাতা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদের ওপরে কর ছাড় পেতে পারেন। এদিকে বাড়ি ভাড়ার ওপরেও আয়কর ছাড়ের দাবি জানানো যায়। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের ওপরে ৮০ডি ধারায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়।
5/5আপনি আপনার গৃহঋণ থেকে অতিরিক্ত ছাড়ও দাবি করতে পারেন। এই ছাড়টি ধারা ৮০ইই-এর অধীনে উপলব্ধ। এটি ফিনান্স অ্যাক্ট, ২০১৬-র অধীনে অন্তর্ভুক্ত। এতে আপনি একটি আর্থিক বছরে গৃহঋণের সুদের ওপর অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ছাড় পেতে পারেন। তবে শর্ত হল, আপনি নিজের প্রথম সম্পত্তি কেনার জন্য নেওয়া গৃহঋণে এই ছাড় পাবেন। এদিকে গৃহঋণের পরিমাণ ৩৫ লাখ টাকার নীচে হতে হবে। এই কর ছাড়ের ক্ষেত্রে আরও একটি শর্ত হল, বাড়ির মূল্য যেন ৫০ লাখ টাকার বেশি না হয়।