আজ সকাল সকাল রাজ্যের শাসকদলের দুই হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধায়ক তথা দমদম-ব্যারাকপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি তাপস রায়। দু'জনের বাড়িতেই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে পৌঁছেছেন তদন্তকারীরা। জানেন এই দুই নেতার সম্পত্তি কত?
1/5 ২০১৫ সাল থেকেই সুজিত বসুর আয় এবং সম্পত্তি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে সুজিতের বার্ষিক আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় ৩৬ লাখ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সুজিতের আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ লাখে। এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সুজিতের স্ত্রী স্বর্ণালী বসুর আয় ছিল ৭ লাখ। তার আগে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৭ লাখ টাকা আয় ছিল স্বর্ণালীর।
2/5 এদিকে ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামায় বলা হয়, ২০১৯-২০ সালে সুজিত বসুর আয় ছিল ৫৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০ টাকা। ২০১৮-১৯ সালে সেই আয় ছিল ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ১০ টাকা। এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে স্ত্রী স্বর্ণালী বসুর আয় ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫০ টাকা। এবং ২০১৮-১৯ সালে স্বর্ণালী দেবীর আয় ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৮০ টাকা। এছাড়া সুজিত বসুর হাতে সেই সময় টাকা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ১২ টাকা এবং স্ত্রীর হাতে ছিল ১ লাখ ৪৯০ টাকা। সুজিতের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল যথাক্রমে ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৮, ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭৪ টাকা। সঙ্গে একটি ১০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল তাঁর।
3/5 ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, সুজিত বসুর দু'টি গাড়ি আছে। একটি গাড়ির দাম ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ এবং অপর গাড়িটির দাম ১৫ লাখ ৩ হাজার ১১১ টাকা। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীরও একটি গাড়ি ছিল, যার দাম ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫১ টাকা। এদিকে সুজিত বসুর কাছে আছে ১৭৯.৫ গ্রাম সোনা এবং ৪৭৯.৫ গ্রাম হিরে। এদিকে স্ত্রী স্বর্ণালীর কাছে আছে ৪৭৭.২ গ্রাম সোনা এবং ৪৮৮.২৫ গ্রাম হিরে।
4/5 এদিকে নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, বিধায়ক তাপস রায় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৬০ উপার্জন করেছিলেন। ২০১৮-১৯ সালে তাঁর আয় ছিল ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭০। তাপসের স্ত্রী শুভ্রা রায়ের আয় তাঁর থেকে বেশি। হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে শুভ্রাদেবীর আয় ছিল ১১ লাখ ৪৩ হাজারের মতো। আর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তা ছিল ১০ লাখ ৭৪ হাজারের মতো।
5/5 নির্বাচনের সময় তাঁর হাতে ছিল ১৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর হাতে ছিল ২২ হাজার ৫০০ টাকা। তাপসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ৬ লাখ ৯৩ হাজার। স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার। তাঁর নামে ২৩ লাখ ২০ হাজার ৫৫৯ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল এবং স্ত্রী শুভ্রা রায়ের নামে সেই সময় ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৩ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল। তাপসের কাছে ৬০ গ্রাম সোনা আছে আর স্ত্রীর কাছে আছে ২২০ গ্রাম সোনা।