পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালটিস্তান অঞ্চলে 'গোপন সফর' পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোমের। আর এই নিয়ে বেজায় চটেছে ভারত। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে বার্তা দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনকে। এদিকে এই নিয়ে অস্বস্তিতেত পড়েছেন দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও।
1/5 সম্প্রতি ছ'দিনের 'গোপন সফরে' গিলগিট বাল্টিস্তান গিয়েছিলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম। উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ গিলগিট বালটিস্তান। বহু বছর আগে এই অঞ্চলটিকে পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে পাকিস্তান। তবে বর্তমানে ভারতের সরকারি নথি অনুযায়ী, এই অঞ্চলটি কেন্দ্র শাসিত লাদাখ অঞ্চলের অন্তর্গত। এই আবহে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাওয়ায় বেজায় চটেছে ভারত।
2/5 গতকাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ডোনাল্ড ব্লোমের গিলগিট-বালটিস্তান সফর নিয়ে। জবাবে অরিন্দম বাগচি বলেন, 'কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আমাদের আবেদন, ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি যেন তারা সম্মান প্রদর্শন করে।'
3/5 এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টিকেও। তার জবাবে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কী করছেন, তার জবাব আমি দিতে পারব না। তবে তিনি সেখানে আগেও গিয়েছেন। এদিকে আমাদের প্রতিনিধিরাও জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন। জি২০ সম্মেলনের সময়ও মার্কিন প্রতিনিধিরা কাশ্মীরে গিয়েছেন। কাশ্মীর ইস্যুর বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।'
4/5 জানা গিয়েছে, গতবছরই পাক অধিকৃত কাশ্মীর (যেটাকে পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর বলে ডাকে) গিয়ে মুজফফরাবাদে ছিলেন। এদিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজের বিবৃতিতে 'আজাদ কাশ্মীর' হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। আর এবারে গিলগিট বালটিস্তানে গিয়ে ৬ দিন থাকেন ডোনাল্ড। জানা গিয়েছে, সফরকালে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন তিনি। সেখানকার সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নাকি দেখা করেছেন ডোনাল্ড।
5/5 এর আগে গতবছর এপ্রিল মাসে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। পরে নয়াদিল্লি তাঁর সমালোচনা করেছিল। পরে মার্কিন সফরকালে এবছর মোদী যখন সেদেশের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ রাখেন, তখন সেখানে আসেননি ইলহান ওমার। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতোই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য।