1/5 একটা সময় ছিল যখন প্রতি মুহূর্তের আনন্দ কিম্বা কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার জন্য হোয়াটস অ্যাপ, টেলিগ্রাম (অ্যাপ), ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মের কথা ভাবাই যেত না। টেলিফোন করতেও সাধারণ মধ্যবিত্তকে ছুটে যেতে হল পাড়ার বুথে। তখন একমাত্র ভরসা ছিল চিঠি। হাতের লেখার ছোঁয়া ব্যক্তিগত চিঠিতে মনের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া কিম্বা অফিশিয়াল দরকারে 'ডাক' যোগে চিঠিই ছিল ভরসা। যার জন্য সঠিক ঠিকানা লেখাটা দরকার পড়ে।
2/5 অফিশিয়াল প্রয়োজন হোক কিম্বা ফিল্পকার্ট, অ্যামাজনের জিনিস বাড়িতে আসা, ঠিকানা সঠিক লেখা থাকলে সুষ্ঠুভাবে তা পৌঁছে যায় বাড়িতে। তবে এই ঠিকানার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পিনকোড। পর পর সংখ্যা বনানো এই কোড কিভাবে প্রতিটি জিনিসকে সঠিকভাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়, তা নিয়ে কখনও ভেবেছেন? কী রয়েছে এই সংখ্যাগুলির রহস্যের অন্দরে?
3/5 ছয় সংখ্যার দেশীয় পিনকোডের যাত্রা ১৯৭২ সালের ১৫ অগস্ট শুরু হয়। কিন্তু এই পিন কোডের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অসামান্য রহস্য। যা ভেদ করে আপনার বাড়ি পৌঁছে যায় বিভিন্ন চিঠি চাপাটি, জিনিসপত্র। পিনকোডের পুরো নাম- পোস্টাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা পিআইএন। পিন কোডের প্রতিটি নম্বরের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। (প্রতীকী ছবি)
4/5 ভারতে পিন কোডের এলাকা হিসাবে বেশ কিছু ভাগে অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। যেমন সেনা বাহিনীর জন্য ৯। বাকি উত্তরাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল রয়েছে এই ভাগে। গোটা দেশকে ২৩ টি পোস্টাল সার্কেলে ভাগ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, দেশ জুড়ে ১৫৪,৯৬৫টি ডাকঘর রয়েছে। এই পোস্টাল সার্কেল ও ডাকঘরের সংখ্যা দিয়েই এই পিনকোড রহস্য রোজ ভেদ করেন ডাক বিভাগের কর্মীরা।
5/5 পিন কোডের প্রথম সংখ্যা জানান দেয় কোন অঞ্চলের ডাকঘরের জন্য চিঠিটি এসেছে বা তা কোন রাজ্যে পাঠাতে হবে। দ্বিতীয় সংখ্যা অঞ্চলের আওতাধীন সাবজোনকে নির্দেশ করে। তৃতীয় সংখ্যায় ওই নির্দিষ্ট সাবজোনের আওতায় বাছাই করা জেলাকে বোঝায়। আর শেষ তিন সংখ্যা জানান দেয় কোন ডাকঘরের চিঠি তার হদিশ। যে জেলার হদিশ মেলে তা বাছাই করা অঞ্চলগুলির মধ্যে বৃহত্তম শহরের প্রধান ডাকঘরে যায়।