ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্বে আগ্রহী আমেরিকা। কয়েক মাস আগে নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকার সফরে সেই আগ্রহ আরও প্রকট হয়েছিল। আর জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে সেই আগ্রহ বাস্বব রূপ ধারণ করেছে পরিকাঠামোগত খাতে। এই আবহে বেশ লাভবান হতে পারে ভারত।
1/5 বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ ভারত। এর অনেকটাই আসে যানবাহনের থেকে। এই আবহে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। কলকাতা, দিল্লির মতো বহু শহরের পথে নেমেছে ই-বাস। দেশের শীঘ্রই আরও ১০ হাজারটি ইলেকট্রিক বাস নামতে চলেছে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং চট জলদি যাতে এই বাসগুলি ভারতের রাস্তায় নামতে পারে, তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে আমেরিকা।
2/5 ভারতের রাস্তায় ১০ হাজার ইলেকট্রিক বাস নামানো এবং সার্বিক ভাবে দেশে 'ই-মোবিলিটি' বৃদ্ধির জন্য আমেরিকা সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমেরিকা এবং ভারত মিলে এই ই-মোবিলিটির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চলেছে। এদিকে শুধু তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদী পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রেও উন্নয়নের জন্য ভারতের সঙ্গে হাত মেলাবে আমেরিকা।
3/5 প্রসঙ্গত, বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকাতে এমনিতেই গোটা বিশ্বের দেশগুলি চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। ভারতও 'জিরো কার্বন'-এর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের দূষণের সিংহভাগই হয় ভারত ও চিনে। কারণ এই দুই দেশেই উৎপাদন বেশি হয়। এই আবহে সোলার সেলের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহের উপায় ভারতের দূষণের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। এই আবহে আমেরিকাও ভারতকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে।
4/5 এই পরিস্থিতিতে গ্রিনফিল্ড পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, ব্যাটারি স্টোরেজ এবং সবুজ প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পুঁজির খরচ কমাচে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম তৈরির পথে এগোচ্ছে। ভারতের জাতীয় বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামো তহবিল এবং মার্কিন ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশন একে অপরকে লেটার অফ ইনটেন্ট দিয়েছে। দুই সংস্থাই ৫০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ প্রদান করে এই তহবিল দাঁড় করাবে।
5/5 এছাড়া টাটার সঙ্গে ৪২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকার ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশনের বোর্ড। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুতে একটি সোলার সেল তৈরির কারখানা গড়ে তুলবে টিপি সোলার লিমিটেড। টাটা পাওয়ারের অধীনে রয়েছে এই সংস্থাটি। এই কারখানা গড়ে তুলতেই টিপি সোলারকে সাহায্য করবে মার্কিন ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশন। উল্লেখ্য, উন্নয়নশীল দেশের সামনে যে সব সমস্যা থাকে, তা মোকাবিলা করার জন্য এই সংস্থা অর্থিক সাহায্য করে থকে। জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিকাঠামো, কৃষি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রকল্পে বিনিয়োগ রকরে ডিএফসি।