রাজ্যসভায় পাশ, কী সংশোধন হল নাগরিকত্ব বিলে Updated: 12 Dec 2019, 11:56 AM IST HT Bangla Correspondent গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 1/15 ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের জন্য বিলটি লোকসভায় উত্থাপন করতে চলেছে কেন্দ্র।সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত যে হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতে শরণার্থী হিসেবে আছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে এদেশে এসেছেন, তাঁরা এই সুযোগ পাবেন। বিলে মুসলিম শরণার্থীদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য রয়টার্স) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 2/15 মূল আইনে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য শেষ ১৪ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১১ বছর এদেশে থাকতে হবে। এছাড়াও সেই সময়ের মধ্যে শেষ ১২ মাসও আবেদনকারীকে ভারতে থাকতে হবে। কিন্তু, উপরোক্ত ৬টি ধর্মাবলম্বী মানুষের ক্ষেত্রে ১১ বছরের সময়সীমা কমিয়ে ৬ বছর করা হয়েছে সংশোধনী বিলে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তা ফের কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 3/15 মূল আইন অনুযায়ী, অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন না। মূল আইনে অনুপ্রবেশকারীদের দু’ভাবে বিদেশি হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। কোনও বৈধ নথি ছাড়া যারা ভারতে প্রবেশ করেছেন বা যারা বৈধ নথি-সহ ভারতে ঢুকলেও অনুমোদিত সময়সীমার পরও ভারতে রয়েছেন (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য রয়টার্স) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 4/15 ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট ও ১৯২০ সালের পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) অ্যাক্টের আওতায় অনুপ্রবেশকারীদের জেলে ঢোকানো বা দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে উপরোক্ত ৬টি ধর্মাবলম্বীদের আইন দুটির নিয়ম থেকে ছাড় দেয় কেন্দ্র। তবে তাঁদেরও ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে থেকে ভারতে বসবাস করতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 5/15 ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই সংশোধনী বিলটি লোকসভায় পেশ করে কেন্দ্র। সে বছরের ১২ অগস্ট বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। পরের দিনই লোকসভায় বিলটি পাশ হয়ে যায়। (ছবি প্রতীকী, সৌজন্য এপি) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 6/15 বিলটির বিরুদ্ধে উত্তাল হয় উত্তর-পূর্ব। রাজ্যসভায় পর্যাপ্ত সংখ্যাও ছিল না নরেন্দ্র মোদী সরকারের। ১৩ ফেব্রুয়ারি অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায়। ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি পেশ করতে পারেনি সরকার। সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্য এপি) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 7/15 বিরোধিতার কারণ : বিরোধীদের দাবি, সংশোধনী বিলটি সংবিধানের ১৪ ধারার পরিপন্থী। সেই ধারা অনুযায়ী, আইনের চোখে সবাই সমান। জাতি,বর্ণ,ধর্ম হিসেবে ভেদাভেদ করা যায় না। বিরোধীদের অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা হয়েছে। (ছবি সৌজন্য এএনআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 8/15 সরকারের যুক্তি : ভারতের প্রতিবেশি মুসলিম-সংখ্যাগুরু দেশে সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হন। তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়াই হল বিলের উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ইতিহাসের ভুলকে শুধরে দেবে এই বিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পড়শি দেশগুলির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ধর্মীয় কারণে নিপীড়ন চালানো হয়। তাই বাধ্য হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তাঁরা। তাঁদের ন্যায়বিচার প্রদানের দায়িত্ব ভারতের। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। (ছবি সৌজন্য এএনআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 9/15 উত্তর-পূর্বে বিরোধিতার কারণ : উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের আশঙ্কা, সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে বড় সংখ্যায় বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা উত্তর-পূর্বে বসবাস শুরু করবে। ফলে উত্তর-পূর্বের জনতাত্ত্বিক কাঠামো পুরো পালটে যাবে। তাঁদের জীবনযাপন, চাকরির সুযোগের উপর প্রভাব পড়বে বহিরাগতদের। ব্যাহত হবে বিভিন্ন জনজাতির সংস্কৃতিও। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 10/15 পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির দাবি, সংশোধনী বিলের ফলে ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘিত হবে। যে চুক্তিতে ধর্ম নির্বিশেষে অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরত পাঠানোর ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ। (ফাইল ছবি, সৌজন্য এএনআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 11/15 পরিস্থিতি সামলাতে উত্তর-পূর্বে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আশ্বস্ত করেন, সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই বিল নিয়ে এগোবে সরকার। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 12/15 বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমদন পায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।(ছবি সৌজন্য এএনআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 13/15 ২০১৬ সালে সরকার যে বিল পেশ করেছিল, তাতে কিছু সংশোধন করা হয়। শুক্রবার তার প্রতিলিপি লোকসভায় বণ্টন করা হয়। নতুন বিলে বলা হয়েছে, সংবিধানের ছয় নম্বর শিডিউল ও ইনার লাইন পারমিট দ্বারা সুরক্ষিত উত্তর-পূর্বের অঞ্চলগুলিতে সংশোধনী বিল কার্যকর হবে না। সেই তালিকায় রয়েছে সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডের অধিকাংশ, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও অসমের কিছু অংশ। তালিকায় ঠাঁই পায়নি মণিপুর (ছবি সৌজন্য এপি) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 14/15 ৯ ডিসেম্বর লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৩১১-৮০ ভোটে অনায়াসে বিলটি পাশ করিয়ে নেয় শাসক শিবির। (ছবি সৌজন্য এএনআই) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 15/15 বুধবার ১২৫-৯৯ ভোটে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়ে যায়। (ছবি সৌজন্য রয়টার্স) গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন