বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > KMC New Rule for Construction: বাড়ি বানাচ্ছেন বা মেরামতি করছেন? কলকাতা পুরসভার এই নয়া নীতির বিষয়ে জেনে নিন বিশদে
KMC New Rule for Construction: বাড়ি বানাচ্ছেন বা মেরামতি করছেন? কলকাতা পুরসভার এই নয়া নীতির বিষয়ে জেনে নিন বিশদে Updated: 29 May 2023, 09:21 AM IST Abhijit Chowdhury পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি বানাতে গেলে প্রচুর নির্মাণ বর্জ্য তৈরি হয়। এছাড়া এমনি নির্মাণ কাজেও বর্জ্য তৈরি হয়ে থাকে। সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে তা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য কত টাকা নেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত নয়া নীতি ধার্য করেছে কলকাতা পুরসভা। 1/5 যিনি নির্মাণ বর্জ্য তৈরি করছেন, সেই ব্যক্তির থেকে কত টাকা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করল কলকাতা পুরসভা। নতুন নীতি অনুযায়ী, ৫০০ বর্গমিটারের বেশি এলাকায় বর্জ্য তৈরি করা হলে একটি হারে টাকা নেওয়া হবে। তবে ৫০০ বর্গমিটারের বড় এলাকা জুড়ে যদি নির্মাণ বর্জ্য তৈরি করা হয়, সেক্ষেত্রে পৃথক হারে নেওয়া হবে চার্জ। যে ব্যক্তি নির্মাণ বর্জ্য তৈরি করছেন বা যার জমি থেকে এই বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, তার থেকেই নেওয়া হবে টাকা। 2/5 এদিকে কত পরিমাণ নির্মাণ বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে, এদিকে সংগ্রহস্থল থেকে প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টের দূরত্ব নির্ধারণ করে চার্জ চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে এই সংক্রান্ত চার্জের কোনও উল্লেখ ছিল না পুরসভা নথিতে। তবে গোটা দেশেই নির্মাণ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর জোর দিয়ে থাকে জাতীয় পরিবেশ আদালত। এই আবহে এই নতুন নীতি আনল পুরসভা। 3/5 পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, এতদিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং পরিবহণ সংক্রান্ত খরচের নির্দিষ্ট কোনও রেট উল্লেখ করা ছিল না পুরসভার নথিতে। তাই নয়া নীতি চালু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশের যে সব শহরে সব থেকে বেশি নির্মাণ বর্জ্য তৈরি হয়, সেই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। 4/5 সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় দৈনিক ১৬০০ টন নির্মাণ বর্জ্য তৈরি হয়ে থাকে। নতুন কোনও বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার তৈরিতে ৫০ কিলোগ্রাম নির্মাণ-বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে। নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে বর্জ্যের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ থেকে ৫০০ কেজি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এদিকে মেরামতির সময়ও প্রতি বর্গমিটারে ৪০ থেকে ৫০ কেজি বর্জ্য তৈরি হয়। 5/5 এই আবহে পুরসভার নয়া নীতি অনুযায়ী, যদি ৫০০ বর্গমিটারের কম এলাকায় বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তবে তা সংগ্রহ ও পরিবহণের জন্য পুরসভাকে টাকা দিতে হবে। তবে সেই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না। এদিকে ৫০০ বর্গমিটারের বেশি এলাকায় যদি বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তবে প্রক্রিয়াকরণের জন্যও টাকা দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে প্রতি টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ৪১৯ টাকা করে দিতে হবে। এদিকে তদারকির জন্য আলাদা হারে টাকা নেওয়া হবে।