বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Netaji Subhash Chandra Bose birthday: নেতাজির জন্মদিনে স্কুল অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি নয় খুদে? এটি পড়ে নিলে বাহবা নিশ্চিত
Netaji Subhash Chandra Bose birthday: নেতাজির জন্মদিনে স্কুল অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি নয় খুদে? এটি পড়ে নিলে বাহবা নিশ্চিত Updated: 21 Jan 2023, 01:15 PM IST Sanket Dhar Netaji Subhash Chandra Bose birthday speech and essay in Bengali: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে স্কুল কলেজে প্রায়ই তাঁকে স্মরণ করে অনুষ্ঠান হয়। তবে ছোট্ট খুদে এখনও তৈরি হয়নি? রইল একটি নমুনা। 1/10 বিভিন্ন স্কুল কলেজে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন তাঁকে স্মরণ করার মাধ্যমে পালিত হয়। এদিন নেতাজিকে নিয়ে কিছু বক্তব্যও রাখতে হয় অনুষ্ঠানে। তারই হদিশ থাকছে এই প্রতিবেদনে। 2/10 ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান অপরিসীম। এদেশের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ভারতকে পরাধীনতার অন্ধকার থেকে বার করে আনতে প্রাণ দিয়ে লড়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান। 3/10 সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, ওড়িশার কটক শহরে। তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ও মাতা প্রভাবতী দেবী। 4/10 মেধাবী ছাত্র সুভাষ কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। এরপর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। পরে বিলেতে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন সুভাষ। 5/10 সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে দেশে ফিরে আসেন সুভাষ। কিন্তু ইংরেজ সরকারের অধীনে চাকরি? কখনই গ্রহণ করলেন না তিনি। তাই চাকরি নিলেন না। বরং দেশকে ইংরেজদের কবল থেকে মুক্ত করতে স্বাধীনতা আন্দোলনে যােগ দিলেন। 6/10 অল্পদিনের মধ্যেই সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা হয়ে উঠেছিলেন। তিনি দুবার কংগ্রেসের সভাপতিও নির্বাচিত হন। এরপর একবার কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুভাষ। ইংরেজ সরকার তাঁকে বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখার সময় ছদ্মবেশ ধরে পালিয়ে যান তিনি। তখন ১৯৪১ সাল। প্রথমে জার্মানিতে সেখান থেকে পরে জাপান চলে যান বঙ্গ বীর। 7/10 জাপানে রাসবিহারী বসুর সঙ্গে যােগ দিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক হয়ে ওঠেন তিনি। সেই প্রথম সকলের কাছে নেতাজি হয়ে উঠলেন সুভাষ। এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বাহিনী নিয়ে উত্তর -পূর্বের মণিপুর দখল করে সেখানে ভারতের পতাকা উড়িয়ে দেন। 8/10 কিন্তু আরও এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি নামে। এছাড়াও রসদের অভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজ পরাস্ত হয়। নেতাজি গঠিত আজাদ হিন্দ সরকারের পতনের পর থেকে তাঁর আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 9/10 কেউ কেউ মনে করেন বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ২০০৬ সালে মুখার্জি কমিশন প্রমাণ করে দেন যে ওই বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি। এছাড়াও জাপানের রেনকোজী মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম আসলে নাকি নেতাজির চিতাভস্ম নয়। 10/10 কিন্তু অন্তর্ধানের পরেও তাঁর দৃপ্ত বক্তব্য আজও তরুণদের উদ্দীপ্ত করে। তার বিখ্যাত বাণী, 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব' গোটা দেশের ভবিষ্যত স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে অন্যতম দৃপ্ত বাক্য। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে অসংখ্য শ্রদ্ধার্ঘ।