ওপিএস নিয়ে বিশাল চাপে মহারাষ্ট্র সরকার। সরকারি কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সেই রাজ্যে। এর জেরে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এদিকে সেই রাজ্যে এখন বোর্ড পরীক্ষা চলছে। তবে সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটের জেরে সমস্যায় পড়েছে পরীক্ষার্থীরাও। এই আবহে ওল্ড পেনশন স্কিম নিয়ে 'কেন্দ্রীয় নীতি' ভুলে অন্য 'বার্তা' শোনা গেল বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের গলায়।
1/5ফড়ণবীস ওপিএস ইস্যুতে বলেন, 'কর্মচারী ইউনিয়নগুলির দাবি, সরকারকে প্রথমে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, তারপর বিষয়টি অধ্যয়ন করতে হবে। এটা করা যাবে না। আমরা নীতিগতভাবে ওপিএসের বিরোধী নই। সরকার বিশ্বাস করে যে কর্মচারীদের অবশ্যই উপকৃত হতে হবে। অবসর গ্রহণের সময় সম্মানজনকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা পেতে হবে সব কর্মীদের। কিন্তু, আমরা তাদের দাবিতে আটকে থাকতে পারি না।'
2/5বিগত বেশ কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন কংগ্রেস ও অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হয়েছে ওল্ড পেনশন স্কিম। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান অবশ্য স্পষ্ট, ওপিএস চালু করে নিজেদের ঘাড়ে আর্থিক দায়বদ্ধতার বোঝা বাড়াচ্ছে রাজ্যগুলি। তবে চাপের মুখে ওপিএস চালু করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন।
3/5ফড়ণবীস অবশ্য বলেন, 'ওপিএস চালু হলে এই সরকার তার বোঝা বহন করবে না। জনপ্রিয়তার স্বার্থে আমরা ওপিএস চালুর ঘোষণা করে দিতেই পারি। তবে এর আর্থিক বোঝা পরবর্তী সরকারগুলি বহন করতে হবে। এই ভারসাম্য নিশ্চিত করতে, আমাদের অবশ্যই সাবধানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।' এর আগে মহারাষ্ট্র সরকার সোমবার আইএএস অফিসার সুবোধ কুমার, সুধীর শ্রীবাস্তব এবং কেপি বক্সির মতো সিনিয়র আমলাদের সমন্বয়ে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ওপিএস চালু করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।
4/5প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৩ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিল সরকার। তবে বাজপেয়ী জমানায় চালু হয় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় এনপিএস। এই নয়া ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক বোঝা হালকা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ছিল। পরবর্তীতে সব রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তা প্রযোজ্য হয়। তবে সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে নতুন করে চালু হয়েছে ওপিএস।
5/5উল্লেখ্য, নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিজের কর্মজীবনে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন কর্মচারীরা, অবসরের সময় সেটার ৬০ শতাংশ টাকা তোলা যায়। যে টাকা তুললে কর দিতে হয় না। বাকি ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ যে বেতন তুলেছিলেন সরকারি কর্মচারী, সেটার ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তবে সেটা যে মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ পুরোটাই বাজারের উপর নির্ভর করে। আর এই ঝুঁকির কারণেই এই পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি সরকারি কর্মীদের একাংশের।