দেশের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি অনেক পরিকল্পনা চালায়। তেমনই একটি সরকারি প্রকল্প হল প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা। এই স্কিমটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার সুবিধা নিতে পারবেন কৃষকরা। কী সুবিধা এই প্রকল্পের?
1/6 প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনা হল ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাসিক পেনশন দেওয়ার একটি প্রকল্প। এতে ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে প্রতি মাসে পেনশন হিসেবে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বছরে ৩৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
2/6 যদি পিএম কিষাণ সম্মান নিধিতে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে কোনও কাগজপত্র ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনায় আপনার নিবন্ধন করা হবে। পেনশন স্কিমের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সম্মান নিধির অধীনে প্রাপ্ত অর্থ থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে, এটি করতে, একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
3/6 প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনায় যুক্ত হলে পিএম কিষানের অধীনে প্রাপ্ত অর্থ থেকে প্রতি মাসে টাকা কাটা হবে। একই সময়ে, ৬০ বছর বয়সের পরে, আপনি প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন। এর পাশাপাশি, আপনি পিএম কিষাণের অধীনে টাকা পেতে থাকবেন। এদিকে কৃষকের বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলে টাকা কাটা বন্ধ হয়ে যাবে।
4/6 সাধারণত, ১৮ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে যেকোনও কৃষক এই প্রকল্পে নিবন্ধন করতে পারেন। একই সময়ে, তাদের বয়স অনুযায়ী প্রতি মাসে এই স্কিমে টাকা জমা দিতে হবে। ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত টাকা জমা করা যেতে পারে। এতে, ৬০ বছর বয়সে পৌঁছানোর পরে, প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা পেনশন পাওয়া যাবে।
5/6 প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধিতে ৩ কিস্তিতে কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, পেনশন স্কিমে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০০ টাকা জমা দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে, সর্বাধিক বার্ষিক অবদান হল ২৪০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন বার্ষিক অবদান হল ৬৬০ টাকা।
6/6 বার্ষিক ৬ হাজার টাকা পেলে, সর্বোচ্চ ২৪০০ টাকার অবদান কেটে নেওয়ার পরে, সম্মান নিধির অ্যাকাউন্টে ৩৬০০ টাকা জমা পড়বে। একই সময়ে, ৬০ বছর বয়সের পরে, বার্ষিক মোট সুবিধা হবে ৪২ হাজার টাকা।