বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > ব্যাটিং পিচেও ব্যাটিং ভরাডুবি, যথেষ্ট ছিল না মনোজ-শাহবাজের প্রয়াস, দেখুন রঞ্জি সেমিফাইনালে বাংলার হারের হাফ-ডজন কারণ
ব্যাটিং পিচেও ব্যাটিং ভরাডুবি, যথেষ্ট ছিল না মনোজ-শাহবাজের প্রয়াস, দেখুন রঞ্জি সেমিফাইনালে বাংলার হারের হাফ-ডজন কারণ Updated: 18 Jun 2022, 02:59 PM IST Abhisake Koley পরিস্থিতি এমন কিছু প্রতিকূল ছিল না। তার উপর কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বরেকর্ড গড়ে শেষ চারে মাঠে নামে বাংলা। তা সত্ত্বেও মহাতারকহীন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে Ranji Trophy-র সেমিফাইনালে কেন হারতে হল বাংলাকে? জেনে নিন সম্ভাব্য ৬টি কারণ। 1/6 কোয়ার্টার ফাইনাল ছাড়া সারা রঞ্জি মরশুমে বাংলার ব্যাটিং চমকপ্রদ হয়নি। প্রতি ম্যাচেই ব্যক্তিগতভাবে দু-একজন ব্যাটসম্যান চমক দেখিয়েছেন। বাকিরা ছিলেন গতপড়তা। সোমিফাইনালেও তার অন্যথা হল না। ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিকতার অভাবই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ডোবায় বাংলাকে। ব্যাটিং সহায়ক পিচেও বাংলার ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সুনামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। 2/6 প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠা সম্ভব হয়নি বাংলার পক্ষে। মনোজ তিওয়ারি (১০২) ও শাহবাজ আহমেদ (১১৬) শতরান করলেও বাকিরা পুরোপুরি ব্যর্থ। দু-একজন ব্যাটসম্যান অল্পসল্প সঙ্গত করতে পারলে ছবিটা অন্যরকম হতেই পারত। 3/6 টস হারাটাও কোথাও একটা ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলে। এমন ব্যাটিং সহায়ক পিচে সব দলই চায় শুরুতে ব্যাট করতে। পরের দিকে স্পিনাররা সাহায্য পাবে, এটা জানা ছিল সবার। বাংলার দুই স্পিনার শাহবাজ আহমেদ ও প্রদীপ্ত প্রামানিক মন্দ বোলিং করেননি। তবে প্রথম ইনিংসে পিচ থেকে কোনও সুবিধা আদায় করা যায়নি বলেই প্রদীপ্তকে প্রভাবশালী মনে হয়নি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি শাহবাজকে যথাযথ সঙ্গত করেন। শাহবাজ দুই ইনিংসেই উইকেট তুললেও তাঁর একার প্রচেষ্টা দলকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। 4/6 দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরন (৭৮) ছাড়া বাংলার ব্যাটসম্যানরা কেউই প্রতিরোধ গড়ে তুললে পারেননি। স্পিনারদের বিরুদ্ধে রীতিমতো অসহায় দেখায় অভিষেক, সুদীপ, সায়ন শেখরদের। নাহলে সেমিফাইনালের মতো বড় ম্যাচে ৩৫০ রানের টার্গেট একেবারে অপ্রত্যাশিত বলে মনে হওয়া উচিত নয়। 5/6 চলতি রঞ্জিতে বাংলার সবথেকে বড় শক্তি ছিল পেস বোলিং। সেমিফাইনালে আকাশ দীপ-মুকেশ কুমাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। তবে পিচ থেকে কোনও সাহায্য না মেলায় পেসারদের কারও পক্ষে ম্যাচ উইনার হয়ে দেখা দেওয়া সম্ভব হয়নি। 6/6 সেমিফাইনালে হারের জন্য বাংলার ভুল-ভ্রান্তি যেমন দায়ি, ঠিক তেমনই মধ্যপ্রদেশের দুই ব্যাটসম্যানকে বাড়তি কৃতিত্ব দিতে হয়। চাপের মুখে ঝোড়ো ব্যাটিং করে অক্ষত রঘুবংশী বাংলার হাত থেকে ম্যাচের রাশ মধ্যপ্রদেশের হাতে তুলে দেন। হিমাংশু মন্ত্রীর দুর্দান্ত শতরান বাংলার মনোবলে জোরালো ধাক্কা দেয়। তাছাড়া ধারবাহিকভাবে উইকেট তোলার জন্য এমপির স্পিনার কুমার কার্তিকেয়ারও কৃতিত্ব প্রাপ্য।