বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Putin on Wagner Chief's Death: একদা ঘনিষ্ঠ, তারপর হয়ে যান শত্রু, ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যু নিয়ে কী বললেন পুতিন?
Putin on Wagner Chief's Death: একদা ঘনিষ্ঠ, তারপর হয়ে যান শত্রু, ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যু নিয়ে কী বললেন পুতিন? Updated: 25 Aug 2023, 08:39 AM IST Abhijit Chowdhury কয়েকদিন আগে প্লেন ক্র্যাশে মৃত্যু হয় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের। পুতিনের এই 'ভাড়াটে' সৈন্য গোষ্ঠী সম্প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে। পরে দুই পক্ষের 'শান্তি' স্থাপন হয়। তবে এরই মধ্যে প্রিগোজিনের মৃত্যুতে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই আবহে এবার মুখ খুললেন পুতিন। 1/7 সম্প্রতি রাশিয়ার টাভার অঞ্চলে কুজেনকিনো নামক গ্রামের কাছে একটি এমব্রেয়ার বিমান ভেঙে পড়েছিল। বিমানটিতে তিনজন পাইলট এবং সাতজন যাত্রী ছিলেন।, তাদের সবাই মারা যান দুর্ঘটনায়। জানা গিয়েছে, বিমানটি শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দর থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিল। সেই বিমানেই ছিলেন প্রিগোজিন। এদিকে রুশ কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 2/7 এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একদা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মৃত্যু নিয়ে পুতিন বলেন, 'ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই মর্মান্তির ঘটনায় আরও যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতিও আমার সমবেদনা জানাতে চাই। ইয়েভজেনি খুব বুদ্ধিমান একজন ব্যক্তি ছিলেন। তবে তিনি কিছু ভুল করেছিলেন।' 3/7 এদিকে প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, 'আমি জানি না ঠিক কী ঘটেছে। কিন্তু আমি বিস্মিত নই। রাশিয়ায় এমন কোনও কিছুই ঘটে না যার পিছনে পুতিনের হাত নেই।' এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। তাঁর কথায়, 'আমি প্রত্যাশা করেছিলাম যে আরও আগে প্রিগোজিন মারা যাবেন।' 4/7 উল্লেখ্য, ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে ভাড়াটে সেনার প্রধান হয়ে ওঠা ইয়েভজেনি কয়েকদিন আগেও পুতিনের বেশ ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধে ইয়েভজেনির ভাড়াটে সৈনিকরা বড় ভূমিকা পালন করছে। শুধু ইউক্রেন নয়, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা যেখানেই রাশিয়া 'ছায়া যুদ্ধে' লিপ্ত, সেখানেই ওয়াগনার গোষ্ঠী পুতিনের হয়ে লড়েছে। 5/7 ৬২ বছর বয়সি ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের জন্ম সেন্ট পিটার্সবার্গে। সেখানেই জন্ম পুতিনেরও। সোভিয়েত জমানায় এই শহরের নাম ছিল লেনিনগ্রাদ। সেখানেই প্রথমে একটি ছোট্ট হটডগের ঠেলা দিয়ে উপার্জন শুরু করেছিলেন ইয়েভজেনি। পরবর্তীতে একটি বড় রেস্তোরাঁ হয় তাঁর। ইয়েভজেনির এই রেস্তোরাঁর ওপর নজর পড়ে পুতিনের। নিজে ক্ষমতায় আসার পর সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাককে এই রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়েছিলেন পুতিন। 6/7 এরপর ২০১০ সাল নাগাদ ইয়েভজেনিকে সরকারি ঋণ পেতে সাহায্য করেন পুতিন। সেই ঋণের টাকায় ইয়েভজেনি একটি কারখানা চালু করেন। সেই কারখানা থেকে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে লাঞ্চ সরবরাহ করা হত। এদিকে সেই কারখানাকে সরকারি বরাত পাইয়ে দিতেও নাকি পুতিন সাহায্য করেছিলেন। এছাড়াও ক্রেমলিনে পুতিনের জন্য ক্যাটারিংয়ের দায়িত্বও ছিল ইয়েভজেনির সংস্থার ওপর। সেই সময় তাঁর ডাকনাম পড়েছিল - 'পুতিনের বাবুর্চি'। রুশ সেনাকে খাবার সরবরাহের বরাতও পেয়েছিলেন ইয়েভজেনি। ৩৮৭ মিলিয়ন ডলারের সেই বরাত পেতে আইনও ভাঙা হয়েছিল। 7/7 রেস্তোরাঁ ও ক্যাটারিংয়ের মাঝেই ইয়েভজেনি ওয়াগনার গোষ্ঠীর মালিক হয়ে যান। এই ভাড়াটে সৈনিকদের গোষ্ঠীকে ভিনদেশে বিভিন্ন সামরিক অভিযানে কাজে লাগায় রুশ সরকার। রাশিয়ার কারাগারে বন্দি থাকা বহু অপরাধী এই ওয়াগনার গোষ্ঠীতে যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেয়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা যেখানেই রাশিয়া 'ছায়া যুদ্ধে' লিপ্ত, সেখানেই ওয়াগনার গোষ্ঠী পুতিনের হয়ে লড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন একনায়কদের সুরক্ষাও দেয় এই গোষ্ঠী। এর বদলে মোটা অঙ্কের টাকা, সোনা বা খনিজ সম্পদ নিয়ে থাকে এই গোষ্ঠী। তবে সাম্প্রতিককালের বিদ্রোহের পর থেকে ওয়াগনারের ওপর আস্থা হারান পুতিন।