'সলমনের বাবা-মা'র কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি', অকপটে জানালেন সোমি আলি।
1/10 ৫৬ পেরিয়েও আইবুড়ো তকমা ঘোচাননি সলমন খান। সম্প্রতি সলমন-ক্যাটরিনার সম্পর্ক নিয়ে কম কাটাছেঁড়া চলেনি, তবে সলমনের জীবনে নারীর আনাগোনা নতুন নয়। কিন্তু জানেন কি একটা সময় খুব সিরিয়াস সম্পর্কে ছিলেন সল্লু মিঁয়া। সকলেই ভেবেছিল সলমনের এই প্রেমটা টিকে যাবে। (ছবি- সংগৃহীত)
2/10 কোনও বলিউড ফিল্মের চিত্রনাট্যকে হার মানাবে সলমন-সোমির প্রেমের গল্প। শুধু হ্যাপি এন্ডিংটাই নেই। ১৯৯১ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি দেখে সলমনের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ষোড়শী সোমি বাবা-মায়ের কাছে বায়না করেছিলেন তিনি সলমনকে বিয়ে করবেন।
3/10 এরপর বাড়ি থেকে ‘পালিয়ে’ ভারতে আসেন সোমি। সলমন খানকে বিয়ে করতেই বলিউডের নায়িকা হওয়ার ভূত চেপেছিল সোমির মাথায়। মাস কয়েকের মধ্যেই হয় স্বপ্নপূরণ। ‘বুলন্দ’ নামের এক ছবিতে সলমনের নায়িকা হওয়ার সুযোগ পান সোমি। শ্যুটিংও শুরু হয়েছিল ছবির, তবে মাঝপথে আটকে যায় সেই প্রোজেক্ট।
4/10 কিন্তু আটকায়নি সলমন-সোমির প্রেম। সেই সময় অপর একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সলমন। কিন্তু সোমি জানিয়েছিলেন, তিনি কেয়ার করেন না। সলমনকেই বিয়ে করতে চান। এরপর মাত্র ১৭ বছর বয়সে সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন এই পাক সুন্দরী। দীর্ঘ আট বছর ধরে সলমন খানের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন সোমি আলি। (ছবি-সংগৃহীত)
5/10 সোমি ফ্রি-প্রেস জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘আমি অনেক কিছু শিখেছি ওর বাবা-মা’র কাছ থেকে, ওর পরিবারের থেকে। আমি সলমনের থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। প্রত্যেকটা সম্পর্কেই একটা বিষয় খুব জরুরি। যদি তুমি কোনও সম্পর্কে খুশি না থাকো তবে আলাদা হয়ে যাওয়াটাই শ্রেয়। সলমন-আমার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছিল। আমি এরপর আমেরিকা ফিরে যাই'।
6/10 গত বছর জুম চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন নায়িকা সলমনের সঙ্গে প্রেম ভাঙা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘২০ বছর হয়ে গেছে আমাদের সম্পর্ক ভাঙার। ও আমাকে ধোঁকা দিয়েছিল এবং আমি সম্পর্ক ভেঙে দিই, এবং মুম্বই ছেড়ে চিরকালের মতো চলে যাই। হিসাবটা খুব পরিষ্কার’। জানা যায়, সোমির সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই ঐশ্বর্যর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় সলমনের। এর জেরেই ভাঙে দুজনের সম্পর্ক। (ছবি-সংগৃহীত)
7/10 সলমনের বাবা-মা সম্পর্কে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোমি। বলেন, ‘ওঁদের বাড়িতে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। সবার জন্য দরজা খোলা সলমনের বাড়ি। সাদরে ডেকে সকলকে কেমনভাবে খাওয়াতে হয় সেটা আমি শিখেছি, আরও একটা জিনিস, ওঁনার কোনওদিন কোনও ধর্মের মধ্যে ভেদাভেদ করতেন না। সব ধর্মের মানুষকে সমান সম্মান দিতেন- ওটাও শিখেছি’।
8/10 সাত বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে ‘কৃষণ অবতার’, ‘অন্ত’, ‘আও প্যায়ার করে’, ‘আন্দোলন’, ‘তিসরা কৌন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন সোমি আলি। ১৯৯৯ সালে সলমনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ভাঙার বেশ কয়েক বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় করে তুলেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।'নো মোর টিয়ারস' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোমি। কাজ করেন দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে।
9/10 সলমনের সঙ্গে আজ কোনও যোগাযোগ নেই সোমির।পুরোনো সম্পর্কের বোঝা বয়ে বেড়ালেও অতীতের দিনে তিনি ফিরতে চান না। তবে সলমনের প্রতি আজও শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে, সেকথা জানান সোমি।