টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দিকে আরও একধাপ এগোল ভারত। বুধবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ রানে হারায় রোহিতরা। এদিনের জয়ে ফের টেবিলের এক নম্বর স্থান দখল করল ভারত। শেষ বল পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস লড়াই। ভারতকে সমান টক্কর দেয় ওপার বাংলার দল।
1/5 বৃষ্টির জন্য ৪ ওভার কমে যায়। সেই সুবাদে ১৬তম ওভারে অর্থাৎ শেষ ওভারে জেতার জন্য আর ২০ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৯ রান করলে ম্যাচ টাই হয়ে যেত। সেখান থেকে বাংলাদেশ ১৪ রান করতে পারে। শেষ ওভারে আর্শদীপ এসেছিলেন বল করতে। যাইহোক তিনি বাংলাদেশকে ১৪৫ রানেই আটকে দেয়। তার আগে অবশ্য আর্শ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শাকিব আল হাসান এবং আফিফ হোসেনের উইকেট নিয়ে ভারতকে অক্সিজেন দিয়েছিলেন।
2/5 বৃষ্টির পরেই যেন ভাগ্য ফেরে ভারতের। অ্যাডিলেড ওভালের পিচে ব্যাটাররাই সুবিধে পাচ্ছিলেন। সেই ফায়দা তুলে প্রথম ৭ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ ৬৬ রান করেও ফেলেছিল। কিন্তু তার পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির থামতে খেলা শুরু হলে খেলায় পরিবর্তন আসে। আউটফিল্ড ভিজে যায়। ক্রিজে সুবিধে পায় পেসাররা। সেটা কাজে লাগিয়ে শামি (১ উইকেট), আর্শদীপ (২ উইকেট), হার্দিকরা (২ উইকেট) বাংলাদেশকে বারবার আঘাত করে। রানের গতি কমে শাকিবদের। যার সুবিধে তুলে নেয় ভারত।
3/5 আর্শদীপের মতো হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২ উইকেট তুলে নেয়। ইয়াসির আলি এবং মোসাদ্দেক হোসেনের উইকেট নিয়ে ভারতকে অক্সিজেন দেয়। কারণ সেই সময়ে উইকেট তুলতে না পারলে রানের গতি বাড়াত বাংলাদেশ।
4/5 বৃষ্টির পর ম্যাচ শুরু হতেই লিটন দাসকে সরাসরি উইকেটে বল মেরে রান আউট করেন কেএল রাহুল। দুরন্ত থ্রো ছিল রাহুলের। লিটনকে আউট করাটা ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভেঙে গেলে ভারতের হাতে ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ আসতে শুরু করে।
5/5 প্রথম ব্যাট করতে নেমে কেএল রাহুলের ৩২ বলে ৫০ এবং বিরাট কোহলির ৪৪ বলে ৬৪ রান ভারতকে ১৮০ রানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করেছিল। তাদের দুরন্ত ফর্মই ভারতকে বড় স্কোরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।