বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > KKR problems in SRH match: গম্ভীরের ফাটকা, ক্যাচ মিস- জিতলেও কোন ৫ সমস্যা KKR-র কপালে শনি ডেকে আনতে পারে?
KKR problems in SRH match: গম্ভীরের ফাটকা, ক্যাচ মিস- জিতলেও কোন ৫ সমস্যা KKR-র কপালে শনি ডেকে আনতে পারে? Updated: 24 Mar 2024, 08:47 AM IST Ayan Das জয় দিয়ে এবারের আইপিএলের অভিযান শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ইডেনে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ২০৮ রান তুললেও জয়টা একেবারেই সহজে আসেনি। মাত্র চার রানে জিতেছে কেকেআর। আর একাধিক ভুলের জন্য এত হাড্ডাহাড্ডি হয়ে উঠেছিল ম্যাচ। সেই পরিস্থিতিতে কেকেআরকে কোন কোন ভুল শোধরাতে হবে? 1/5 ওপেনিং ফাটকা খেলার দিন শেষ: অধিনায়ক হিসেবে যে কাজটা করেছিলেন অধিনায়ক, মেন্টর হিসেবে কেকেআরে সেই কাজটা এড়িয়ে চলতে হবে গৌতম গম্ভীরকে। কারণ সুনীল নারিনকে আউট করার উপায় সবাই জানেন। ক্রিস লিনের সঙ্গে যে ধ্বংসাত্মক শুরুটা করতেন, সেটা এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে শুরুতেই উইকেট হারানোর কোনও অর্থ নেই। বরং ফিল সল্টের সঙ্গে একজন স্থায়ী ওপেনারকে বেছে নিতে হবে। ২০২৩ সালে বারবার ওপেনিং জুটি পালটে ডুবেছিল কেকেআর। (ছবি সৌজন্যে এএনআই) 2/5 দুই আইয়ারের ম্যাচ সচেতনতা: সল্ট যখন পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ ছন্দ পেয়ে গিয়েছেন, তখন অহেতুক বড় শট মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন বেঙ্কটেশ এবং শ্রেয়স আইয়ার। কেকেআর ব্যাটারদের এই বিষয়টা শোধরাতে হবে। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে কী পরিণতি হতে পারে, সেটা মরশুমের প্রথম ম্যাচেই বোঝা গিয়েছে। আইয়ার ও নীতীশ রানা পরপর আউট হয়ে যাওয়ায় মেরে খেলা তো দূর অস্ত, খোলসে ঢুকে যেতে বাধ্য হন সল্ট। (ছবি সৌজন্যে এপি) 3/5 ডেথ বোলিংয়ের সমস্যা: ২০২৩ সালে যে সমস্যা ছিল, ২০২৪ সালের প্রথম ম্যাচেও তা কাটল না। ১৭ তম, ১৮ তম এবং ১৯ তম ওভারে ৬৩ রান খরচ করে ফেলে কেকেআর। তার জেরেই ২০ তম ওভার শুরুর সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুঠোয় ম্যাচটা চলে এসেছিল। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ডেথ বোলিংয়ের মান ভালো করতে হবে কেকেআরকে। নাইট শিবিরের জন্য আশার বিষয় যে মিচেল স্টার্ক ও হর্ষিত রানা যে ডেথে কার্যকরী হতে পারেন, সেই প্রমাণ ১৬ তম ও ২০ তম ওভারে মিলেছে। (ছবি সৌজন্যে এএফপি) 4/5 ফিল্ডিংয়ের মান ভালো করা: সুয়াশ শর্মা একটা দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন বটে। কিন্তু শনিবার সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে কমপক্ষে তিনটি ক্যাচ ফস্কেছেন কেকেআরের ক্রিকেটার। তারপরও শনিবার রেহাই মিলেছে। চার রানে জয় এসেছে। অন্যদিন হয়তো হেরে মাঠ ছাড়তে হবে। তাই কেকেআরকে নিজেদের ফিল্ডিংয়ের মান বাড়াতেই হবে অবিলম্বে। (ছবি সৌজন্যে এপি) 5/5 সার্বিকভাবে বোলিংয়ের মান বৃদ্ধি: প্রথম ম্যাচে কেকেআরের পেস বোলিং বিভাগকে বেশ নড়বড়ে লেগেছে। হর্ষিত শেষ ওভারে ম্যাচ জেতালেও পেসাররা যে ১০ ওভার করেছেন, তাতে ১১১ রান খরচ হয়েছে। স্পিনারদের মধ্যে শুধু বরুণ চক্রবর্তী ডুবিয়েছেন। সুনীল নারিন এবং সুয়াশ ভালোই বল করেছেন। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রোজ-রোজ ব্যাটাররা ২০০-র বেশি রান তুলে দেবেন না। তখন বোলাররা এরকম পারফরম্যান্স করলে কেকেআরের কপালে শনি নাচছে। (ছবি সৌজন্যে এপি)