Alina Kabaeva: ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধের আবহে এবার নিষিদ্ধের তালিকায় নাম যোগ হতে পারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘গার্লফ্রেন্ডে’র। মনে করা হয়, প্রাক্তন অলিম্পিক সোনাজয়ী জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের। এহেন আলিনাকে এবার নিষিদ্ধ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ষষ্ঠ দফা নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রস্তাব করতে চলেছে শীঘ্রই। সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন আলিনা।
1/4আলিনাকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এতদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বিধা বিভক্ত ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক অংশের আশঙ্কা ছিল, এই পদক্ষেপের জেরে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন আরও বাড়তে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আশঙ্কার থেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে যেনতেন প্রকারে পুতিনকে ঠেকানোর উপায় বের করা। যদিও এখনও আলিনাকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলে ইইউ-র ২৭ জন সদস্য দেশের সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিতে হবে। (ছবি সৌজন্যে হিন্দুস্তান)
2/4১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কাবায়েভা। বিশ্বের সবচেয়ে সজ্জিত জিমন্যাস্টদের একজন তিনি। ছন্দবদ্ধ জিমন্যাস্টিকসে তিনি দুটি অলিম্পিক পদক, ১৪টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ পদক এবং ২১টি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ পদক জিতেছিলেন। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সোচিতে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে মশালবহকদের একজন ছিলেন তিনি। (ছবি - টুইটার)
3/4প্রথমবার ২০০৮ সালে পুতিনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল আলিনার নাম। ‘মস্কোভস্কি করসপন্ডেন্ট’ নামক একটি ছোট ট্যাবলয়েড পত্রিকা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবি করেছিল যে পুতিন কাবায়েভাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন। তবে প্রতিবেদনটিতে করা খবরকে ক্রেমলিনের তরফে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি পুতিন নিজের ব্যক্তিগত জীবনে সাংবাদিকদের নাক না গলানোর ‘পরামর্শ’ দেন। তবে একযুগ পর আজও পুতিন এবং আলিনাকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। (ছবি - টুইটার)
4/4বর্তমানে আলিনা কাবায়েভাকে ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে আছেন। এই গ্রুপ প্রায় সমস্ত রাশিয়ান মিডিয়া আউটলেটের সিংহভাগ শেয়ারের মালিক। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাবে রাজনীতিতে ছিলেন। তখন তিনি ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সাথে রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য ছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছিল, মার্চ মাসে যুদ্ধ চলাকালীন আলিনা সুইৎজারল্যান্ডে ছিলেন। তবে সুইস কর্তৃপক্ষ তল্লাশি চালিয়ে জানিয়ে দেয় যে আলিনা তাদের দেশে নেই।