বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত শর্মার লড়াকু ইনিংস সবার মনে থাকবে। ফিন্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান হিটম্যান। তখনই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ফিল্ডিং করতে না পারলেও ব্যাটিং করতে নামেন রোহিত। চোট নিয়েই অর্ধশতরান করেন ভারত অধিনায়ক।
অর্ধশতরান করলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি হিটম্যান। তবে তার লড়াকু ইনিংস প্রশংসিত হয়েছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে। শিষ্যের এমন ইনিংস দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারলেন না রোহিতের ছোটবেলার কোচ দীনেশ ল্যাড।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ। ভারতের জেতার জন্য দরকার ২৭২ রান। চোটের জন্য ব্যাট করতে নামতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। অষ্টম উইকেটের পতন। ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে এলেন রোহিত শর্মা। বাঁ হাতে ব্যান্ডেজ ও সেলাই। হাঁকালেন পাঁচটি ছক্কা। ২৮ বলে করলেন অপরাজিত ৫১ রান। এই ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় আঙ্গুলে চোট পান তিনি। শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল ৬ রান। ব্যর্থ হন রোহিত। তাঁর লড়াই যেতাতে পারেনি ভারতকে। এই ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ার (৮২) এবং অক্ষর প্যাটেল (৫৬) ছাড়া অন্য কেউ দাগ কাটতে পারেনি।
আরও পড়ুন:- IND vs BAN: দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি ইশানের, দেখে নিন ODI ক্রিকেটে আর কারা ২০০ রান করেছেন
দীনেশ ল্যাড বলেন, 'এটি সত্যিই একটি সাহসী ইনিংস ছিল। রোহিত জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিল। যেনতেন প্রকারে ও সেই ম্যাচ জিততে চাইছিল।রোহিত সবসময় জেতার চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন। যেই বোলার হোক না কেন। এই ইনিংসটি সেরা ইনিংসের মধ্যে একটি। আমার জন্য এবং সব ভক্তদের জন্য বিশেষ ইনিংস হিসেবে থেকে যাবে। বুড়ো আঙুল চোট লেগেছে, সেই অবস্থায় ঠিকমতো ব্যাট ধরা যায় না। শট মারার কথা ভুলে যান। রোহিত সেই ব্যথাকে একপাশে রেখে যেভাবে ব্যাট করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।'
রোহিতের ছোটবেলার কোচ আরও বলেন, 'আমি পুরো ম্যাচটা ওকে দেখেছিলাম। ভারত যখন হেরে গেল তখন ওকে দেখে এটাই মনে হচ্ছিল প্রচন্ড বিরক্ত। সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। এতজন ক্রিকেটারের চোট আঘাত। কীভাবে দল জিতবে। এখানে ওরও কিছু করার নেই। তবে পরিস্থিতি মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।