আমাদের জীবনের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আজ থেকে এক-দেড় দশক আগেও যা কল্পনাতীত ছিল, প্রযুক্তিগত উন্নতির জেরে আজ তাই বাস্তব। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন আবিষ্কার মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এর থেকে ক্রীড়াজগতও বাদ নেই। অনিল কুম্বলে মনে করছেন ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ক্রীড়াজগতে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ওপর আরও বেশি করে প্রভাব ফেলবে।
ডিআরএস বা ভিএআরের মতো প্রযুক্তির উদ্ভাবন ক্রিকেট ও ফুটবলে শেষ কয়েক বছরে কী পরিমাণ প্রভাব ফেলেছে তা সকলেই দেখেছেন। আইপিএল, প্রিমিয়র লিগের মতো বিভিন্ন বড় বড় টুর্নামেন্ট থেকে ঘরোয়া খেলা, সবেতেই দলে অ্যানালিস্টদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। ডিআরএসের উদাহরণ টেনে এনে পঞ্জাব কিংস ফ্রাঞ্চাইজি যুক্তি দিয়ে বোঝান, যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি ক্রিকেটের মতো খেলায় কতটা পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
ক্রীড়ায় প্রযুক্তির উদ্ভাবন নিয়ে সংগঠিত এক ওয়বিনারে কুম্বলে জানান, ‘ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই ডিআরএসের উপস্থিতি একটা পার্থক্য তৈরি করেছে এবং আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন প্রযুক্তি যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর অনেক বেশি প্রভাব সৃষ্টি করবে।’ তবে যে ডিআরএস-র নির্ভুল হওয়ার শতাংশ বা ভিএআরের সুক্ষ্মতম ব্যবধানে গোলের সিদ্ধান্ত বদল খেলার মধ্যেকার স্বাভাবিক উচ্ছ্বাসটাকে নষ্ট করে দেওয়া সহ আরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার কী কুম্বলে অবশ্য মনে করছেন যুক্তি তর্ক দিয়ে আলোচনা হতেও পারে তবে প্রযুক্তি আসায় আদপে লাভই হবে।
‘আমি জানি আমরা বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে এখনও এই বিষয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে অত্যাধিক প্রযুক্তি কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছি। আমি প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করব, না পুরোনো সাধারণ রীতি অনুযায়ী শুধুমাত্র বল দেখে তাকে মারার চেষ্টা করব, এই চিন্তাও অনকের মাথায় এসেছে। বল দেখে বল মারাটা অবশ্যই সবথেকে সোজা বিষয়। তবে দিনের শেষে তুমি যদি প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারো. তাহলে তো তোমায় পিছিয়ে পড়তে হবে।’ যুক্তি দিয়ে নিজের মন্তব্যের ব্যাখা করেন ভারতীয় কিংবদন্তী।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।